তৎপর: বন্ধ বাড়ির তালা ভাঙা হচ্ছে। শুক্রবার, তেলিয়াপাড়া রোডে। নিজস্ব চিত্র
বন্ধ থাকা বাড়ি এবং ফ্ল্যাটে জল জমলে নোটিস দেওয়া হবে বাড়ি বা ফ্ল্যাটমালিককে। তাতেও কাজ না হলে তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে যাবে পুরসভার ডেঙ্গি প্রতিরোধকারী দল। ডেঙ্গি-সহ একাধিক মশাবাহিত রোগের মোকাবিলায় এমন কথা বার বার বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট এলাকায় এমনই একটি বন্ধ বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকলেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পুরসভার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের ৬, তেলিয়াপাড়া রোডের ওই বাড়িটি অনেক দিন ধরেই বন্ধ। স্থানীয় কাউন্সিলর পাপিয়া সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘বাড়িটি পুরনো। মালিক এক প্রোমোটারকে বাড়িটি দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বন্ধ বাড়িটির ভিতরে এবং ছাদের জলাধারে জল জমে রয়েছে। মাস চারেক আগে প্রোমোটারের নামে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।’’ ফলে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকার সিদ্ধান্ত।
পাপিয়া জানাচ্ছেন, সম্প্রতি ওই এলাকায় তিন জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। তার পরে গত মঙ্গলবার ফের ওই বাড়িতে পুরসভা থেকে নোটিস লাগানো হয়। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ফলে এ দিন ওই ওয়ার্ডে কর্মরত পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা কাউন্সিলরের নির্দেশে বাড়ির দরজার তালা ভেঙে দেন। কাউন্সিলর জানান, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরনো ওই বাড়িটির বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থা। চার দিক আবর্জনা এবং আগাছায় ভরে গিয়েছে। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা গিয়েছে, ছাদে মুখ খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে জলাধার। সেখানে ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভাও মিলেছে। পাপিয়া জানিয়েছেন, সেই লার্ভা নষ্ট করে ওই জলাধারে এ দিন গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘নোটিসের কথা কিছুই জানতাম না। আমি তো ওখানে থাকি না। কাল-পরশু গিয়ে দেখব।’’