দমদম জেলের নিরাপত্তায় কিয়স্ক

শুক্রবার সন্ধ্যায় পুকুর লাগোয়া জেল চত্বরের চ্যালেঞ্জ গেট থেকে একটি বোমা উদ্ধার হয়।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০১:০৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

দু’-আড়াই দশকের অভ্যাস! তাতে ছেদ পড়ছে। ক্ষোভ তো থাকবেই। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশেই কি দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে বোমা উদ্ধার? এমনই সন্দেহ দানা বাঁধছে কারা দফতরের কর্তাদের মনে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাড়াতে পদক্ষেপ শুরু করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় পুকুর লাগোয়া জেল চত্বরের চ্যালেঞ্জ গেট থেকে একটি বোমা উদ্ধার হয়। ঠিক তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে জেলের পাঁচিলের ভিতরে মেলে আরও একটি বোমা।

কেন এমন পরিস্থিতি?

Advertisement

গত দু’-আড়াই দশক ধরে জেলের চত্বরের কয়েকটি জায়গা ভাঙা রয়েছে। সেই ভাঙা অংশ দিয়েই বিভিন্ন বেআইনি জিনিসপত্র— মোবাইল, গাঁজা, নানা ট্যাবলেট, মদ-সহ একাধিক সামগ্রী জেল চত্বরে ঢোকে বলে অভিযোগ। বছরখানেক আগে সেই ভাঙা অংশ বন্ধ করতে উদ্যোগী হয় কারা দফতর। আড়াই সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছে ভাঙা অংশ মেরামতির কাজ। ইতিমধ্যে অনেকটা ভাঙা অংশ বন্ধও করা গিয়েছে। কারা দফতরের একাংশের মতে, ভাঙা অংশ মেরামত হলে অবৈধ পাচার বাধা পাবে। সেই রাগ থেকেই এ ভাবে জেলের মধ্যে বোমা ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এমনকি জেলের চ্যালেঞ্জ গেটের কাছে মদ-গাঁজার আসর বসত। তাতেও ছেদ পড়তে চলেছে আঁচ করে এ ভাবে জেলকে শঙ্কিত করা হল বলে দাবি কারা দফতরের কর্তাদের।

পাঁচিলের ভাঙা অংশ মেরামতির কাজ যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সে কারণে নির্মাণকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে কারা দফতর। কারণ, ওই কাজে আসা নির্মাণকর্মীদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলেও একটি সূত্রের দাবি।

এই পরিস্থিতিতে জেল লাগোয়া পুকুর চত্বরের নিরাপত্তা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কারা দফতর। ওই পুকুর পাড়ে কিয়স্ক তৈরির জন্য পদক্ষেপ করছে তারা। কিছু দিনের মধ্যেই সেই কাজ শুরু হওয়ার কথা। তবে পুলিশ না কারা দফতর না কি যৌথ ভাবে ওই কিয়স্ক নিয়ন্ত্রণ হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলেই সূত্রের খবর।

শুধু বন্দির সংখ্যার নিরিখে যে বেশি তা-ই নয়, দমদম জেলে বিভিন্ন দেশের বন্দিরাও থাকেন। তাই জেলের নিরাপত্তায় কোনও ঢিলেমি রাখতে চায় না কারা দফতর। সে কারণে কিয়স্ক করা, সিসি ক্যামেরা বসানো-সহ নিরাপত্তা নিয়ে পদক্ষেপ করছে তারা। ইতিমধ্যেই ওই চত্বরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রয়েছেন পুলিশকর্মীরাও। উল্লেখ্য, পুকুর পাড় সংলগ্ন এলাকায় কোনও ক্যামেরা নেই। কারা দফতরের একাংশের মতে, ওই চত্বরে সিসি ক্যামেরা থাকলে জেলের মধ্যে বোমা ছোড়ার ঘটনার কিনারা করার অনেকাংশে সুবিধা হত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement