দক্ষিণেশ্বরের নবনির্মিত স্কাইওয়াক। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণেশ্বরের নবনির্মিত স্কাইওয়াকের চেয়েও ১০০ মিটার বেশি লম্বা হবে কালীঘাটের প্রস্তাবিত স্কাইওয়াক। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক লম্বায় ৩৪০ মিটার। চওড়ায় সাড়ে ১০ মিটার। কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াক হবে প্রায় ৪৫০ মিটার লম্বা। তবে চওড়ায় এটিও হবে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের মতোই সাড়ে ১০ মিটার। এই পরিকল্পনা সামনে রেখেই এখন কালীঘাট স্কাইওয়াকের নকশা এবং বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করছে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস। প্রাথমিক ভাবে কালীঘাট স্কাইওয়াকের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি টাকা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্যানের কাজ হাতে নিয়েছে তারা। আদালতের নির্দেশে প্রথম দফায় মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন এলাকা সাজিয়ে তোলা হবে। দ্বিতীয় দফায় তৈরি হবে স্কাইওয়াক। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে কাজ শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
স্কাইওয়াক যেখানে তৈরি হবে, কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা এবং রাইটসের কর্তারা সেই এলাকা ইতিমধ্যেই ঘুরে দেখেছেন। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড থেকে কালী টেম্পল রোড হয়ে মন্দিরের সামনে স্কাইওয়াক নামবে। কালী টেম্পল রোডের মাঝ বরাবর পুরসভার নিকাশি নালা গিয়েছে। গ্যাসের লাইনও রয়েছে সেখানে। পুরসভার মানচিত্র ধরে সেই সব লাইন এক পাশে সরিয়ে স্কাইওয়াকের নির্মাণকাজ হবে।
পুরসভা এবং রাইটসের কর্তাদের আশা, স্কাইওয়াক তৈরি হয়ে গেলে কালী টেম্পল রোডে যে যানজট হয়, তা অনেকটাই কমবে। প্রাথমিক ভাবে যে নকশা তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে ওঠা এবং নামার জন্য দু’দিকে তিন জোড়া এসক্যালেটর ও তিন জোড়া সিঁড়ি থাকবে। লিফট তৈরির কোনও পরিকল্পনা হয়নি।
কালীঘাট মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েত অঙ্কন হালদার বলেন, ‘‘মন্দিরের সামনে ফুটপাতে দু’দিকেই হকারেরা বসেন। দিনদিন তাঁদের সংখ্যা বাড়ছে। স্কাইওয়াক হলে কতটা সুবিধা হবে, তা এখনই বলা যাবে না। এখানকার রাস্তা অনেকটা চওড়া। দক্ষিণেশ্বরের মতো সঙ্কীর্ণ নয়। তবে সরকার চাইলে স্কাইওয়াক হবে।’’