জোড়া কালবৈশাখীর দাপটে মঙ্গলবার রাতেই লন্ডভন্ড হয়েছে শহর কলকাতা। রাজ্যের জেলাগুলিতেও দেখা গিয়েছে ঝড়ের দাপট। বুধবার সকাল হতেই লন্ডভন্ড শহরের ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা দিয়েছে। কোথাও ঝড়ে উপড়ে গিয়েছে গাছ, কোথাও ভেঙে পড়েছে বাতিস্তম্ভ। শহর কলকাতার নানা জায়গার ছবি দেখুন গ্যালারির পাতায়।
জোড়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবের পর বুধবার সকাল থেকে আংশিক মেঘলা ছিল আকাশ। শহরের নানা জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাপমাত্রা অনন্য দিনের থেকে বেশ কিছুটা কম। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও দেখা গিয়েছে ঝড়ের দাপট। মেদিনীপুরের নানা জায়গায় ঝড়ে গাছপালা উপড়ে গিয়ে বিপত্তি দেখা দিয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গতকালের ঝড়-বৃষ্টির পর তাপমাত্রা তুলনায় কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পারদ চড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
গতকাল রাত থেকেই শহরের নানা জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ভবানীপুরে একটি বাড়ির উপর গাছ পড়ে খসে গিয়েছে দেওয়াল। ঝড়ের দাপটে গতকালই মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪। এ দিন মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬।
সল্টলেক ও পাইকপাড়ার নানা জায়গায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছটিয়ে পড়ে আছে গাছ ও ভাঙা ডালপালা। ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক সিগন্যালও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পথে নেমেছেন পুরকর্মীরা।
গাছ পড়ে দক্ষিণেশ্বর আর রানি রাসমনি মন্দিরের চূড়া ভেঙেছে। পঞ্চবটির আশপাশেও গাছ উপড়েছে। বেলুড় মঠের ভিতরে ও বাইরে গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
শহরের নানা জায়গায় গাছ ও ল্যাম্পপোস্ট উপড়ে গিয়ে যানজট দেখা দিয়েছে। বুধবার, কাশীপুর রোড, বিবেকানন্দ ক্রসিং, সাহেব বাগান, কে এন দত্ত রোডে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
কৈলাস বোস স্ট্রিটে ট্রাফিক সিগনাল পোস্ট ভেঙে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাইকপাড়া ও শ্যামবাজারের নানা জায়গায় ভেঙে পড়েছে ল্যামপোস্ট। সাদার্ন অ্যাভিনিউতে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে আছে বাতিস্তম্ভ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে রাস্তা পারাপার।
আনন্দপুরের রাস্তায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাটখোলা রোডের উপর একটি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়েছে।
গড়িয়াহাট এবং কালীঘাটের নানা জায়গায় রাস্তায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে গাছপালা। জায়গায় জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।