Justice Abhijit Ganguly

শহরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ওরা দুর্দান্ত, ট্র্যাফিক পুলিশের প্রশংসায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

শুক্রবার আদিবাসী সংগঠনের মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে যায় শহরের একাংশ। হাওড়া সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজট তৈরি হয় হাওড়াগামী শহরের রাস্তাগুলিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪২
Share:

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা ট্র্যাফিকপুলিশের প্রশংসা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে অন্য রাজ্যের চেয়ে কলকাতা পুলিশ অনেক বেশি দক্ষ বলেও মন্তব্য করলেন তিনি। তাঁর কথায়, "অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে কলকাতা ট্র্যাফিকপুলিশ যে ভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে তা দুর্দান্ত। পুজোর সময় খুবই দক্ষতার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় সামলায় তারা।" তবে কলকাতা পুলিশের এই দক্ষতা এক দিনে হয়নি বলে জানান বিচারপতি। শুক্রবার তাঁর পর্যবেক্ষণ, কলকাতার নগরপাল তুষার তালুকদারের সময় থেকেই এমন ট্র্যাফিক সামলানোর পারদর্শিতা দেখিয়ে আসছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার আদিবাসী সংগঠনের মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে যায় শহরের একাংশ। হাওড়া সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজট তৈরি হয় হাওড়াগামী শহরের রাস্তাগুলিতে। ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’-এর ওই মিছিলের ফলে হাই কোর্টে ঢুকতে দেরি করেন অনেকে। রাস্তায় আটকে পড়েন বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা। শুক্রবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এমনই সব অভিজ্ঞতার কথা জানান আইনজীবীরা। এক আইনজীবী জানান, এত বড় কর্মসূচি সত্ত্বেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনে ট্র্যাফিক পুলিশ। এর পরেই কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের প্রশংসা শোনা যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। শুধু প্রশংসাই নয়, অন্য রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে বিচারপতি কলকাতা পুলিশের তুলনাও টানেন। তিনি বলেন, "মুম্বই বা বেঙ্গালুরুর তুলনায় কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ অনেক ভাল। অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে ওই পুলিশের সাফল্যের হার খুব বেশি নয়। কিন্তু এই শহরের ট্র্যাফিক পুলিশ অনেক বেশি দক্ষ।"

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি বার বার রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, এ রাজ্যের পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে। কিন্তু পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আদালতের। তাই মামলাগুলির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement