—প্রতীকী ছবি।
পরিবহণ শিল্পে মন্দার কারণে কয়েক হাজার বেসরকারি বাস, অ্যাপ-ক্যাব এবং হলুদ ট্যাক্সির পথ কর ও পারমিট ফি সময় মতো মেটানো সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ ‘জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স’-এর। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ওই সব গাড়ির ক্ষেত্রে বিপুল জরিমানার বোঝা চাপার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফোরামের নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, পথ কর এবং পারমিট ফি-এর থেকেও বহু ক্ষেত্রে এই জরিমানার অঙ্ক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা এড়াতে এককালীন সর্বাধিক ১৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে যাতে অন্যান্য কর এবং ফি মেটানো যায়, সেই আর্জি জানিয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়েছে সংগঠন। ফোরামের তরফে ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অতীতে অতিমারি পরিস্থিতির পরে রাজ্য সরকার এমন সুযোগ দিয়েছিল। অতিমারি কেটে গিয়ে এখনও পরিবহণ শিল্প যথেষ্ট চাঙ্গা নয়। তাই এক বারে সর্বাধিক ১৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে কর এবং অন্যান্য ফি মেটানোর সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে নেওয়া বাস, মিনিবাস এবং ছোট গাড়ির ভাড়া বাড়ানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে ফোরাম। ওই চিঠিতে বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে দিনপ্রতি ভাড়া ২৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০০ টাকা, মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা এবং সাত জন বসতে পারেন এমন গাড়ির ভাড়া ১১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬০০ টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, চালকদের দৈনিক ভাতা ১৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হোক। ফোরামের অভিযোগ, ভোটের কাজে চালকদের দীর্ঘ ক্ষণ প্রত্যন্ত এলাকায় পড়ে থাকতে হয়। তাই তাঁদের প্রাপ্য বাড়ানো জরুরি।