প্রতীকী ছবি।
একবালপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত পাঁচ জনকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল পকসো আদালত। সোমবার ওই নির্দেশ দেন আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সোনিয়া মজুমদার।
এ দিন সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় এবং মাধবী ঘোষ বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত নির্মম ঘটনা। তদন্তে গণধর্ষণের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। তদন্তের জন্য ধৃতদের থেকে আরও তথ্য প্রমাণ দরকার।’’ নির্যাতিতা কিশোরীর গোপন জবানবন্দির জন্য সরকারি আইনজীবীর আবেদনও এ দিন মঞ্জুর করে আদালত। পুলিশও আদালতে কিশোরীর একাধিক মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেয়।
পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসিন্দা কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই গত শুক্রবার শিশু যৌন নির্যাতন বিরোধী (পকসো) আইনে মামলা রুজু করে তাদের ধরেছিল একবালপুর থানার পুলিশ। পরে বাড়ির মালিক সঞ্জয় মিদ্যাকেও ধরা হয়। ধৃতদের জেরা করে রবিবার দু’টি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মোটরবাইকে চাপিয়েই কিশোরীকে অমরজিৎ চৌপাল এবং মনোজ শর্মা ভূকৈলাস রোডে নিয়ে যায়। সেখানে ছিল অভিযুক্ত বিকাশ মল্লিক এবং ঋত্বিক রাম। কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, চার জন মিলে জোর করে মদ খাইয়ে রাতে তাকে পরপর ধর্ষণ করে। পুলিশ এই ঘটনায় প্রথমে অমরজিৎ, মনোজ, বিকাশ এবং ঋত্বিককে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীরা জানান, গণধর্ষণের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় শনিবার সঞ্জয় মিদ্যাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতেরা এত দিন পুলিশি হেফাজতে ছিল।