ফাইল চিত্র।
নবান্ন অভিযানে গিয়ে গ্রেফতার হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ জন পড়ুয়া। যাদবপুর-সহ রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বুধবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ।
এ দিনের অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংসদের সদস্যেরা। সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে জমায়েত করেন পড়ুয়ারা। ধর্মতলা, নিউ রোড হয়ে ডাফরিন রোড ধরে নবান্নের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পড়ুয়াদের পথ আটকায় বিশাল পুলিশবাহিনী। এই অভিযান উপলক্ষে ডাফরিন রোডে আগেই মোতায়েন ছিল বিশাল বাহিনী। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের জানায়, উপনির্বাচনের জন্য নবান্নে কেউ নেই। তবে চার জন প্রতিনিধি ডিসি (সাউথ)-এর অফিসে গিয়ে তাঁদের দাবিপত্র জমা দিয়ে আসতে পারেন। রাজি হননি পড়ুয়ারা। এর পরেই রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা।
পরে বিরাট বাহিনী সেখান থেকে বিক্ষোভকারী ৪৮ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে লালবাজারের সেন্ট্রাল লক-আপে নিয়ে যায়। এই মিছিল থেকে ছ’জন নবান্নের দিকে যেতে চাইলে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজ়ার কাছে তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় শিবপুর থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, নবান্ন অভিযানের জন্য দীর্ঘক্ষণ ডাফরিন রোড বন্ধ ছিল। ফলে ওই রাস্তা থেকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি। পুলিশের দাবি, রাস্তা বন্ধ থাকলেও ডাফরিন রোড চত্বরে গাড়ির গতি বাধা পায়নি।
এ দিন পড়ুয়াদের প্রশ্ন ছিল, উপনির্বাচন যখন হচ্ছে, তখন ইচ্ছুক পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস কেন শুরু হবে না? এর আগে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দিয়ে ক্যাম্পাস খোলার দাবি করা হয়েছিল। পড়ুয়াদের দাবি ছিল, ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, পড়ুয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যবস্থা হোক। রাজ্য সরকার ইচ্ছুক পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দিন স্থির হয়নি।
এই দাবিতে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার পরে উচ্চশিক্ষা দফতরেও চিঠি দেন। কিন্তু উচ্চশিক্ষা দফতর উত্তর দেয়নি বলেই সূত্রের খবর। এর পরেই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র
সংসদের চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। রাজ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।’’