পর্যবেক্ষণ: মেট্রোর কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যাদবপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা। মঙ্গলবার, বৌবাজারে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
বৌবাজারে মেট্রোর কাজের পরিসরে অবস্থিত জীর্ণ বাড়িগুলির স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখা শুরু করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিশেষজ্ঞেরা।
মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির অবস্থা যাচাইয়ের আগে সকালেই কলকাতা পুরসভা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একপ্রস্ত বৈঠক হয়। কোন বাড়ির অবস্থান কোথায়, এলাকার মানচিত্র হাতে তা ঘুরে দেখে পুরসভা ও চার জনের বিশেষজ্ঞ দল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি বাড়ি ঘুরে দেখা হল। আমরা নিয়মিত আসব। বাড়িগুলি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়ার মতো সময় এখনও আসেনি।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই বৌবাজারে বাড়ি ভাঙা শুরু হয়েছে। এখন একটি বাড়িই ভাঙা চলছে। আরও তিনটি বাড়ি ভাঙার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তিতে একটি বাড়ি ভাঙা স্থগিত রেখেছেন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ।
এ দিন সকালেই বিল্ডিং বিভাগের ডিজি অনিন্দ্য কারফর্মাকে নিয়ে পুর কমিশনার বিনোদ কুমার ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি ঘোরেন। পুরসভা সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল দুর্গা পিতুরি লেনের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ছাড়াও আশপাশের একাধিক রাস্তার বাড়ির স্বাস্থ্য সমীক্ষা করতে চায়। স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, ‘‘বছর তিনেক আগে গৌর দে লেন, মদন দুর্গা লেন, হিদারাম ব্যানার্জি লেনের কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞেরা ওই সব রাস্তা ছাড়াও বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের কিছু ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে চান।’’
ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে স্থানীয় কাউন্সিলরের দুর্গা পিতুরি লেনের অফিসঘরেই বিশেষ সেল খোলা হয়েছে। যেখানে কেএমআরসিএল এবং পুরসভার প্রতিনিধিরা থাকছেন। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সকাল থেকেই কাউন্সিলরের অফিসে ক্ষতিগ্রস্তদের যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিশ্বরূপ বলেন, ‘‘এটা বড় বিপর্যয়। এই এলাকার সমস্ত বাড়ি নিয়মিত পরীক্ষা করা দরকার। পুর কমিশনারের কাছে আবেদন, এলাকার জন্য সর্বক্ষণের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হোক।’’