—প্রতীকী চিত্র।
পুজোর ঠিক আগে নির্দেশ দিয়ে পরিবহণ দফতর জানিয়েছিল, পথকর ছাড়াও রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙার জন্য ধার্য জরিমানা না মেটালে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত শংসাপত্র মিলবে না। কিন্তু ট্র্যাফিক আইন ভাঙার জন্য ধার্য জরিমানা সংক্রান্ত বিষয় নির্দেশিকা থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠন চিঠি লেখে পরিবহণ সচিবকে। এর পরেই সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন দফতরের আধিকারিকেরা। তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে জরিমানার অঙ্ক যোগ করার বিষয়টি প্রত্যাহার হল।
বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত গাড়ি— সব ক্ষেত্রেই ওই নির্দেশিকা পুজোর আগে বলবৎ হয়েছিল। পুজোর পরে বাস, মিনিবাস, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়ির একাধিক পরিবহণ সংগঠন আপত্তি জানায়। তাদের অভিযোগ, রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে জরিমানা এখন আগের চেয়ে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই ওই সব মামলা হয় চালকের অজানতে। অতীতে এমন মামলায় ধার্য জরিমানা নিয়ে লোক আদালতে যাওয়ার সুযোগ ছিল। নতুন নির্দেশিকায় সেই সুযোগ নেই বলে অভিযোগ জানিয়েছিল সংগঠন। বাস, মিনিবাস, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়ির বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স’ ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে পরিবহণ সচিবের কাছে চিঠি দেয়। তার পরেই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে জরিমানা যুক্ত করার বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর।
ফলে এ বার থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত শংসাপত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুই বকেয়া পথকর মেটানো বাধ্যতামূলক থাকছে। ‘জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স’-এর অন্যতম আহ্বায়ক ও ‘অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন আর জরিমানা বাকি থাকার হিসাব দেখানো হচ্ছে না।’’ ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহার কথায়, ‘‘এর ফলে অনর্থক আর্থিক বোঝা কমবে।’’ একই মত স্কুলগাড়ি সংগঠনের সম্পাদক সুদীপ দত্তের।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোটর ভেহিকলস্ আইনে ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত যোগ হয়েছে। এর পরেই জরিমানা আদায়ে পরিবহণ দফতর বিষয়টি নিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ করতে চাইছে।