প্রতীকী ছবি
পুলিশ ট্রেনিং স্কুল (পিটিএস) থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দফতর সরিয়ে নেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করল লালবাজার। সূত্রের খবর, হাওড়ার কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে পাঠানো হতে পারে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দফতর।
তবে যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারে বাহিনী, সে জন্য কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি করে দল তৈরি রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে। সেখান থেকেই দ্রুত বিপর্যয় স্থলে পৌঁছে যাবেন বাহিনীর সদস্যেরা। বর্তমানে পিটিএসের দফতর থেকেই দুর্ঘটনাস্থলে যান ওই বাহিনীর সদস্যেরা। আমপানের পরেও সেখান থেকেই একাধিক ছোট দল গড়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (ডিএমজি) কর্মীদের শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়েছিল।
করোনা সংক্রমণের সতর্কতায় ঘাটতির অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের (পিটিএস) ভিতরে-বাইরে গত ১৯ মে রাতে বেনজির বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কমব্যাট এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। উত্তেজিত পুলিশকর্মীদের কাছে নিগৃহীত হন কলকাতা পুলিশের তৎকালীন ডিসি (কমব্যাট ব্যাটেলিয়ন) নভেন্দ্র সিংহ পালও। এর পরেই যুগ্ম কমিশনারের (সশস্ত্র) নেতৃত্বে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার দিন দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলা হয়। এর পরেই ওই দুই বাহিনীর ২০ জন কর্মীকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে। ওসি-সহ একাধিক আধিকারিককেও সরানো হয়েছে। লালবাজার একে রুটিন বদলি বললেও ডিসি নিগ্রহ এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের জেরে এই বদলি শাস্তিস্বরূপ বলে দাবি পুলিশের একাংশের। ডিএমজি দফতর সরানোর ভাবনাকেও সেই শৃঙ্খলাভঙ্গের জের বলে মনে করছে তারা।
ওই ঘটনার পরপরই কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নেও বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন সেখানকার কয়েক জন কর্মী। ওই অভিযুক্তদের সাসপেন্ড এবং বদলি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সূত্রের খবর, তবে সেখানেই থামবে না লালবাজার। কলকাতা পুলিশের আটটি সশস্ত্র ব্যাটেলিয়নের ইনস্পেক্টর এবং নিচুতলার কর্মীদের বিভিন্ন ইউনিটে ব্যাপক বদলি করা হতে পারে। সেই কাজ শুরুও হয়েছে। সশস্ত্র ব্যাটেলিয়নে দীর্ঘদিন পোস্টিং থাকার ফলে এক শ্রেণির পুলিশের মধ্যে যে মৌরসিপাট্টা তৈরি হয়েছে, তা ভাঙতে এমন কর্মী এবং আধিকারিকদের পরের ধাপে বদলি করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
বিক্ষোভের পরেই নবান্ন-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কমব্যাট ফোর্সের জওয়ানদের সরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র পুলিশের কর্মীদের। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ডিএমজি ও কমব্যাট ফোর্সের জওয়ানের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পুলিশের একটি অংশের দাবি।
আরও পড়ুন: করোনা জুজু! আঁতুড়ঘরে নজরদারিতে বাধা পুরকর্মীদের, ডেঙ্গি রুখতে সচেতনতাই দাওয়াই