প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার আড়াই মাস পরে, বুধবার সকালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল জখম যুবকের। নবমীর রাতে বন্ধুদের মারধরে গুরুতর আহত হয়েছিলেন কুন্দন যাদব নামে ওই যুবক। ঘটনায় পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও এখনও পলাতক এক জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ফেরার যুবকের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার ট্যাংরা থানার সামনে কুন্দনের দেহ রেখে পরিবারের সদস্যেরা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়। কুন্দনের মৃত্যুর পরে খুনের চেষ্টার মামলা বদলে খুনের ধারা যুক্ত করতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, ট্যাংরা থানা এলাকার পুলিন খটিক রোডের রেললাইনের কাছে নবমীর রাতে ছয় বন্ধু বসে মদ্যপান করছিলেন। কুন্দনও ছিলেন সেখানে। মদ্যপান করার পরে ঠাকুর দেখতে যাওয়া নিয়ে গোলমাল বাধে কুন্দনের সঙ্গে তিন জনের। কটূক্তি করা নিয়ে অভিযুক্ত ভিকি খটিক এবং রিকি রাউথদের সঙ্গে বচসা বাধে কুন্দনের। অভিযোগ, ওই দু’জন প্রথমে কুন্দনকে ইট দিয়ে আঘাত করে। মাটিতে পড়ে গেলে লোহার রোড দিয়ে মারা হয় তাঁকে। তখন ভিকি এবং রিকি ছাড়া আরও এক যুবক ছিল। মারধরের পরে কুন্দনের ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুন্দনকে প্রথমে এনআরএস হাসপাতাল এবং পরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করায়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পুলিশ প্রথমে মারধরের মামলা করলেও পরে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে। গ্রেফতার করা হয় ভিকি খটিক এবং রিকি রাউথকে। দু’জনের বাড়ি ট্যাংরা থানা এলাকার পুলিন খটিক রোডে। বর্তমানে তারা জেল হেফাজতে রয়েছে।