—প্রতীকী চিত্র।
শহর যখন পুজো নিয়ে মাতোয়ারা, তখনও তাঁদের ছুটি নেই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এলাকায় এলাকায় এবং মণ্ডপে মণ্ডপে আবর্জনা সাফাই থেকে শুরু করে মশার তেল স্প্রে করা ও ব্লিচিং ছড়ানোর কাজ করে গিয়েছেন পুরসভার কর্মীরা। একই অবস্থা চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের। কারণ, ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা তুলনায় কমলেও থেমে নেই সংক্রমণ।
দমদম এবং দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গির লেখচিত্র কিছুটা নিম্নমুখী হলেও সংক্রমণ পুরোপুরি কমেনি। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে দৈনিক পাঁচ-ছ’জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। দমদম পুরসভা এলাকায় এই সংখ্যাটা তিন-চার জন। দুই পুরসভাই পুজোর দিনগুলিতে বিশেষ নজরদারি এবং পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি নিয়েছিল। পুজোর আয়োজকেরাও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী প্রতিদিন মণ্ডপ এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণ আর পরিচ্ছন্নতার কাজ চলেছে।
দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে পুরপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে বিশেষ নজরদারি ও পরিচ্ছন্নতার কাজ চলেছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, পুরসভা এখন অনেকটাই তৎপর। তবে, আগে থেকেই এই তৎপরতার প্রয়োজন ছিল। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, পুজোর দিনগুলিতে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও শূন্য হয়নি। তাই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পুর হাসপাতালে সব ব্যবস্থা মজুত রয়েছে।