—নিজস্ব চিত্র।
১৪০ কেজি ওজন। চর্বিতে ঢুকে গিয়েছিল বুলেট। আর সেটাই বার করতে লাগল চার ঘণ্টা। এসএসকেএম হাসপাতালে অসাধ্য সাধন করলেন চিকিৎসকরা। কয়েক দিন আগে নেপাল চৌধুরী নামে মালদহের ইংরেজবাজারে এক স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পাঁচ ফুট দূরত্ব থেকে করা এই গুলি শরীরের ভিতরেই আটকে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই হয় অস্ত্রোপচার। চিকিৎসক ছিলেন সৌমিতা চট্টোপাধ্যায়, সিরাজ আহমেদ এবং প্রীতিন বেরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুলেটের আঘাতে শরীরের একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এত কাছ থেকে গুলি করলে শরীরে ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে গুলি গিয়ে আটকে যায় মলদ্বারের কাছে। অনেক ক্ষেত্রে শরীরে গুলি থেকে গেলেও অসুবিধা হয় না। কিন্তু নেপালের একাধিক শারীরিক সমস্যার কারণে এই গুলি নিয়ে অসুবিধা হচ্ছিল। প্রস্রাবে সমস্যা হচ্ছিল, কখনও কখনও রক্তও বেরোচ্ছিল।
সেই পরিস্থিতিতে সোমবার সকালে এসএসকেএম ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয় নেপালকে। শুক্রবার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। সাধারণত বুলেট ‘ওপেন সার্জারি’ করে বার করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে শরীরে অতিরিক্ত মেদের কারণে সেই বুলেট একবারে খুঁজে বার করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই কারণে ‘ল্যাপ্রোস্কপি’ করা হয়। অস্ত্রোপচারের প্রথম দেড় ঘণ্টা গুলিটি খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তার পর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। শেষ পর্যন্ত সফল হন চিকিৎসকরা। আপাতত সুস্থ আছেন নেপাল।