—ফাইল চিত্র।
করোনা সঙ্কট চললেও তিন মাস বন্ধ থাকার পরে ছোঁয়াচ বাঁচিয়েই আলিপুর আদালতে সশরীরে মামলায় অংশগ্রহণ করলেন আইনজীবীরা। কম সংখ্যক মামলার শুনানির মধ্যে দিয়েই শনিবার আলিপুরের দায়রা ও ফৌজদারি আদালতে কাজকর্ম শুরু হল। শুক্রবারই বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এ দিন থেকে সশরীরে মামলায় অংশগ্রহণের কাজ শুরু করবেন তাঁরা।
শুক্রবারই সিদ্ধান্ত হয়েছিল দূরত্ব-বিধি মেনে ও ছোঁয়াচ এড়ানোর সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েই এ দিন আদালতের কাজকর্ম শুরু হবে। সেই মতো বিচারক, আইনজীবী ও অন্য কর্মীরা গ্লাভস, মাস্ক-সহযোগে এ দিন আদালতে হাজির হন বলেই খবর। সবাই নিজেদের মতো করে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে
নিয়েই আদালতে এসেছিলেন। এ দিন মূলত ফৌজদারি আদালতে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ও অতিরিক্ত
মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে জামিনের আবেদনের শুনানি হয়েছে। শনিবার থাকায়
এ দিন সব বিচারকের এজলাসেই মামলার সংখ্যা কম ছিল। আইনজীবীরা জানান, এক দিনের নির্দেশিকায় আদালত চালু হয়েছে। অনেক মক্কেল ও আইনজীবী এ দিন কাজকর্ম চালু হওয়ার খবরও পাননি। সেই কারণেই মামলায় আইনজীবীদের অংশগ্রহণ কম হয়েছে। সোমবার থেকে আলিপুরের সব বিচারকের এজলাসে পুরোদমে মামলা শুরু হবে বলে এ দিন আইনজীবীদের একাংশ জানান।
আগেই আলিপুরের জেলা বিচারক একাধিক বার নির্দেশিকা জারি করে আইনজীবীদের কাছে আবেদন করেছিলেন পরীক্ষামূলক ভাবে সশরীরে শুনানিতে অংশ নিতে। কিন্তু সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেই, এই অভিযোগ তুলে তাঁরা রাজি হননি। শুক্রবার বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় তাঁরা বিধি মেনে শুনানিতে অংশ নিতে সম্মত হন। তবে জেলা বিচারক, মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক ও অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে জীবাণুনাশক সুড়ঙ্গ বসানোর জন্য আবেদন করা হবে বলেও বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়।
তবে আদালতের বাইরে জমায়েত হওয়া লোকজনের মধ্যে দূরত্ব-বিধি তেমন ভাবে মানা হয়নি বলেই খবর।