গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দুর্গাপুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। বিসর্জনের সময় ‘ডিজে’ অথবা তারস্বরে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। এ বছর ঠাকুর ভাসানের জন্য চার দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামিকাল ১৯ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর সোমবার পর্যন্ত বিসর্জন পর্ব চলবে।
বিসর্জনের দিনগুলিতে গঙ্গায় নজরদারির জন্য স্পিড বোট, লঞ্চ, ডুবুরি থাকছে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ২৪টি ঘাটে বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। গঙ্গার ঘাট ছাড়াও কলকাতা এবং শহরতলিতে বিভিন্ন ঝিল এবং বড় পুকুরেও বিসর্জন চলবে। নিরাপত্তার কারণে সেখানে মোতায়েন থাকবে পুলিশ।
দূষণ রুখতে প্রতিমার কাঠামো সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ফুল, বেলপাতা-সহ পুজোর আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত সামগ্রী নদী বা জলাশয়ে না ফেলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপেক্ষায় থাকে আপনজন, পুজো মণ্ডপই ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে ইলিয়াস শান্তনুদের
লালবাজার সূত্রে খবর, বাড়ি ও বারোয়ারি মিলিয়ে শহরে চার হাজারের কাছাকাছি পুজো হয়। কলকাতা পুলিশ এলাকায় ২৪টি গঙ্গার ঘাট-সহ মোট ৭০টি ঘাট নির্দিষ্ট হয়েছে বিসর্জনের জন্যে।
বিসর্জনের কথা মাথায় রেখে গঙ্গায় রিভার ট্রাফিক পুলিশ টহল দেবে। থাকবেন পুলিশ কর্তারাও। থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রতিটি ঘাটে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার পাশাপাশি থাকবে ওয়াচ-টাওয়ার।
আরও পড়ুন: অষ্টমীর রাতে প্যান্ডেলে ঢুকে খুন, গুলি-বোমায় পণ্ড ইলাহাবাদের দুর্গাপুজো
বিসর্জনের পরে কাঠামো যাতে গঙ্গায় না চলে যায়, তা রুখতে নদীতে দড়ির জাল লাগানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে পুলিশের। নিরঞ্জন পর্ব শেষ হলেই দ্রুত কাঠামো পাড়ে তুলে নেওয়া হবে। সারা রাতই বিসর্জন চলে। তাই ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।