ছবি: সংগৃহীত।
আর কিছু দিন পরেই শুরু হচ্ছে উৎসবের মরসুম। প্রথমে দুর্গাপুজো, তার পরে একে একে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, বড়দিন, বর্ষবরণ। কিন্তু প্রতি বারের মতো এ বার আনন্দ করতে পারবে না পড়ুয়ারা। উৎসবের দিনগুলোয় পড়ুয়াদের মধ্যে করোনা সচেতনতা আনতে উদ্যোগী হলেন শহরের আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ডের স্কুল কর্তৃপক্ষ। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শুধু পড়ুয়ারাই নয়, করোনার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরও। সামনের উৎসবের সময়ে কী কী নিয়ম পালন করলে কোভিডকে হারানো যেতে পারে, তার রূপরেখা তৈরি করে অভিভাবকদের বোঝাবেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা।
আইসিএসই বোর্ডের অধীনে স্কুলের প্রিন্সিপালরা জানালেন, তাঁদের বোর্ড সচিব জেরি অ্যারাথুনের নির্দেশেই এই করোনা সচেতনতার প্রচার শুরু হচ্ছে অনলাইন ক্লাসে। অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়ার আগে করোনা নিয়ে কী করা উচিত ও কী করা উচিত নয়, সেই নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করবে পড়ুয়ারা। তার পরে তাদের গল্পের ছলে করোনা প্রসঙ্গে সচেতন করা হবে। আঁকতে দেওয়া হবে করোনা সচেতনতা নিয়ে নানা রকম ছবি ও পোস্টার।
রামমোহন মিশন হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল সুজয় বিশ্বাস বা ন্যাশনাল ইংলিশ হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল মৌসুমী সাহা জানালেন, এই সচেতনতার প্রচার শুধু পড়ুয়াদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকেও করোনা নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হবে। উত্তর কলকাতার একটি আইসিএসই স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, ‘‘বাচ্চারা হয়তো সংবাদপত্রে, টিভির খবর দেখে অনেকটাই সচেতন। কিন্তু তা-ও এই উৎসবের সময়ে সচেতনতার বার্তা ওদের মধ্যে বারবার পৌঁছে দেওয়া জরুরি। শুধু তাই নয়, স্কুল যখন খুলবে তখনও ওদের যথেষ্ট সতর্ক হয়ে স্কুলে আসতে হবে। কী ভাবে তারা স্কুলে আসবে, সে বিষয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা আনতে হবে। স্কুলের ফেসবুক পেজেও এই নিয়ে প্রচার চালানো হবে।” দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, “পুজোর আগেই আমি অনলাইনে আমাদের স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সচেতনতার বার্তা দেব।”
সিবিএসই-র অধীন স্কুলগুলিও জানাচ্ছে তারাও এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। শ্রীশিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘করোনা সচেতনতা নিয়ে কুইজ়, পোস্টার প্রতিযোগিতা, বিতর্ক অনেক কিছুই হচ্ছে। পড়ুয়ারা এখন অনেক সচেতন। নাক ঢেকে কী ভাবে মাস্ক পরতে হয়, তা এখন একটি খুদে পড়ুয়াও জানে। তবে উৎসবের সময়ে আরও সচেতনতা দরকার। সামান্য ভুলেও সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে তা বোঝানো হচ্ছে অভিভাবকদের।”