কারও উপরে হামলার ঘটনাকেই তিনি সমর্থন করেন না বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরে দিন কয়েক আগে আলিপুরের গোপালনগর মোড়ে হামলার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বসিরহাটে পুরভোটের প্রচারে গিয়ে সেই প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, ‘‘কেবল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ই নন, কারও উপরে হামলার ঘটনাই সমর্থনযোগ্য নয়।’’ পাশাপাশি অভিনেত্রী-সাংসদের সংযোজন, ‘‘ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল, তা অবশ্য আমার জানা নেই।’’ এর আগে তৃণমূলের আর এক অভিনেতা-সাংসদ দেবও রূপার উপরে হামলার সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ই শুধু নন, এ ধরনের ঘটনা কারও সঙ্গেই ঘটা উচিত নয়। দলের কর্মীদের শান্ত ও সংযত থাকার পরামর্শও দেন তিনি। অভিনেতা দীপঙ্কর দে অনেক দিন ধরেই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হলেও অভিনেতা হিসেবে দীর্ঘদিনের সহকর্মী রূপার উপরে হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এক জন শিল্পীর উপরে আঘাত মানে সমস্ত শিল্পীর উপরে আঘাত।’’ তবে অন্য বিকল্প না থাকায় ভোট তিনি তৃণমূলকেই দেবেন বলে জানান। যদিও তার অর্থ, শাসক দলের সব আচরণ তিনি সমর্থন করেন, এমনটাও নয়। রূপার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ করেছে শাসক দল। যা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মমতা। রূপার বিরুদ্ধে তৃণমূলের পতাকার অবমাননার অভিযোগ তুলে তাঁকে ধরা করা হবে না কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে রাজনীতিবিদ রূপাকে একটু বেশিই প্রাধান্য দেওয়া হয়ে গেল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে শাসক দলের অন্দরে।