প্রতীকী ছবি
এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়াল নরেন্দ্রপুর থানার জগদীশপুর এলাকায়। এর পরে প্রতিবেশীরা ওই মহিলার স্বামীকে গাছে বেঁধে মারধর করেন। পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার রাতে জগদীশপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে পূজা শর্মা (৪১) নামে ওই বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তদন্তকারীরা জানান, বছর দশেক আগে গাড়িচালক সুনীল শর্মার সঙ্গে বিয়ে হয় পূজার। স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে সংসার করতেন তিনি। তাঁর মা-বাবা থাকেন শিলিগুড়িতে। পূজা-সুনীলের দুই ছেলে রয়েছে। পরিজনদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে তাঁর উপরে অত্যাচার করত সুনীল। তাঁর হাত-পা বেঁধে মারধর করা হত। এমনকি, বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেওয়া হত।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সুনীলের বিরুদ্ধে পড়শিরা স্থানীয় পঞ্চায়েতে অভিযোগ করলে তাদের হস্তক্ষেপে সাময়িক ভাবে সমস্যা মেটে। প্রতিবেশীদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জন মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে সুনীল।
পূজার বান্ধবী তথা প্রতিবেশী স্বপ্না দাস বলেন, ‘‘সুনীলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর উপরেও সে অত্যাচার চালাত বলে তিনি চলে যান। পূজাকেও সন্দেহের বশে মারধর করত সুনীল।’’ যদিও অভিযুক্তের দাবি, পূজাই তাকে মানসিক যন্ত্রণা দিতেন। সুনীল আরও দাবি করেছে, পূজা আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের মা ও বোনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আপাতত ধৃতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।