Crime

বধূ-হত্যায় ১০ বছরের জেল স্বামী ও শাশুড়ির

২০১০ সালের অগস্টে শ্বশুরবাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় জসলিমা বেগম নামে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২০ ০১:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দাবি অনুযায়ী পণ না-পেয়ে এক তরুণীকে পুড়িয়ে মেরেছিল তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। সেই ঘটনার ১০ বছর পরে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই দু’জনকে বুধবার ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন আলিপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যেই, ২০১০ সালের অগস্টে শ্বশুরবাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় জসলিমা বেগম নামে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ। ওই বছরেরই মার্চ মাসে প্রতিবেশী যুবক হাসান মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে ওই তরুণীর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় জসলিমার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরে তাঁর পরিজনেরা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী হাসান মোল্লা, শাশুড়ি সানোয়ারা বিবি ও শ্বশুর ইয়াসিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা চলাকালীনই ইয়াসিন মোল্লার মৃত্যু হয়। গত সোমবার বিচারক খুনের ঘটনায় হাসান মোল্লা ও সানোয়ারা বিবিকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

এই মামলার সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিচারক হাসান মোল্লা ও সানোয়ারা বিবিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। সেই টাকা অনাদায়ে আরও এক মাস জেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement