ছবি: সংগৃহীত
এ বার হাওড়ার আবাসনগুলিতে একা থাকা প্রবীণদের জন্য নজরদারি বাড়াবে হাওড়া পুরসভা। সম্প্রতি ওই পুর এলাকার বিভিন্ন আবাসনে অসহায় প্রবীণদের কয়েক জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে জানতে পারে, মৃত্যুর কারণ করোনা।
এর পরেই হাওড়া পুরসভা আবাসনের প্রবীণদের দেখাশোনার জন্য এলাকা ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাঁরা আবাসনের সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বয়স্কদের খোঁজ রাখবেন।
কয়েক দিন আগেই হাওড়া সিটি পুলিশ ফেসবুকে করোনা নিয়ে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করে। সেখানেই পুলিশ এবং পুর আধিকারিকেরা আবাসনের বয়স্কদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। অনেক প্রবীণই জানান, করোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা কী করবেন, কোথায় যাবেন, সেটা বুঝতে পারছেন না। এমনকি সংক্রমণের ভয়ে তাঁরা বাজারেও যেতে পারছেন না। এই ধরনের সমস্যা শুনেই জেলা প্রশাসন বয়স্কদের উপরে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি তাঁদের পরামর্শ, ভিন্ রাজ্য বা বিদেশে থাকা সন্তানরা যেন দিনে অন্তত ১৫ মিনিট করে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।
মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভার এক কর্তা জানান, হাওড়ায় প্রায় শ’দেড়েক আবাসন রয়েছে। যার প্রতিটিতেই এমন প্রবীণ-প্রবীণারা থাকেন, যাঁদের সন্তানরা ভিন্ রাজ্যে বা বিদেশে থাকেন। করোনা পরিস্থিতিতে এঁদের বাড়ি থেকে বেরোনো অনুচিত ঠিকই, অথচ এঁদের বাজার করে দেওয়ার লোকও নেই। সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ বসু রোড এলাকার এমনই এক বৃদ্ধার ফেসবুক বার্তা দেখে ট্র্যাফিক পুলিশ বাজার-ওষুধ পৌঁছে দিয়ে আসে তাঁকে।
ওই পুরকর্তার কথায়, “এমন বয়স্কদের সাহায্য করতে এ বার বিভিন্ন এলাকার আবাসনের জন্য এক জন করে কর্মী নিয়োগ হয়েছে। যাঁরা সংশ্লিষ্ট আবাসনের সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে প্রবীণদের খোঁজ নিয়ে ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দেবেন।”
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)