পুর বোর্ড না থাকাই ডেঙ্গি বৃদ্ধির কারণ, মানছে প্রশাসন

কিছু দিন আগেই হাওড়া পুর প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিজিন কৃষ্ণ মেনে নিয়েছিলেন, পুর এলাকায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের পিছনে নিচু তলার কর্মীদের কাজের অনীহা এবং সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:০৯
Share:

হাওড়া পুর এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ।

ডেঙ্গিতে কাঁপছে গোটা হাওড়া পুর এলাকা। কিন্তু এর কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিভিন্ন মত শোনা যাচ্ছিল। তবে বেশির ভাগেরই দাবি, এক বছর আগে হাওড়া পুর বোর্ড ভেঙে দেওয়ার পরে নতুন বোর্ড গঠন না হওয়া যার অন্যতম কারণ। যদিও প্রশাসনের একটি বড় অংশ সে কথা মানতে নারাজ ছিল। তবে শনিবার সেই তত্ত্বই জোরদার হল পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য সমবায়মন্ত্রীর বক্তব্যে।

Advertisement

কিছু দিন আগেই হাওড়া পুর প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিজিন কৃষ্ণ মেনে নিয়েছিলেন, পুর এলাকায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের পিছনে নিচু তলার কর্মীদের কাজের অনীহা এবং সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তবে নতুন পুর বোর্ড গঠন না হওয়া এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ, এমনটা সরাসরি বলেননি তিনি। শনিবার সকালে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারে গিয়ে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ের বক্তব্যে প্রশাসক মণ্ডলীর তরফে সে কথাই বলা হল। এ দিনের অভিযানে পুরসভার স্বাস্থ্য এবং সাফাই দফতরের কর্মীরা ব্লিচিং, মশা মারার তেল এবং ধোঁয়া দেওয়ার যন্ত্র নিয়ে যান। মন্ত্রী জানান, নির্বাচিত বোর্ড থাকলে কাউন্সিলরেরা নিজেদের বিভিন্ন এলাকা দেখাশোনা করতে পারতেন। এ বছর সে কাজটাই হয়নি। জনগণের সব অভিযোগ ফেলে দেওয়ার নয়।

চলতি বছরে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যাবে। অথচ পুরসভার স্বাস্থ্য এবং সাফাই বিভাগ এলাকা পরিষ্কারের কোনও কাজই করে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। পরিস্থিতি এমনই যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার এমনকি মৃত্যুর খবর পেয়েও এলাকায় পুরসভার কর্মীরা এ বার যাচ্ছেন না। কিংবা ঘটনার পরপর গেলেও খুবই দায়সারা ভাবে কাজ করছেন বলে দাবি বাসিন্দাদের।

Advertisement

অরূপবাবু বলেন, ‘‘হাওড়া পুরসভায় কর্মীর অভাব-সহ একাধিক অসুবিধা রয়েছে। সেই কারণে পুর পরিষেবার কাজে এত ঢিলেমি। নির্বাচন না হওয়ায় অসুবিধা তো হচ্ছেই। বোর্ড থাকলে কাউন্সিলরেরা প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করতেন। এ বার সেটাই হয়নি।’’ বাসিন্দাদের দাবি, এমন প্রতীকী অভিযানে কোনও সমাধান সূত্র বেরোবে না। নিয়মিত এলাকা সাফাই এবং মশা মারতে তেল ছড়ানো হোক।’’

এ দিন মন্ত্রীর দাবি, ডেঙ্গি মোকাবিলায় হাওড়া পুরসভা

কাজ শুরু করেছে। আগেই উত্তর হাওড়ায় জেলা প্রশাসনের তরফে ডেঙ্গির প্রতিরোধে প্রচার হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ ভাবে মশা দমনের অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement