প্রতীকী ছবি।
কোভিড বর্জ্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নষ্ট করে ফেলার কথা। অথচ পিপিই কিটের দেখা মিলছে বড় রাস্তার পাশে। এলাকার শিশুরা কখনও কখনও সে সব কুড়িয়েও নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি, পিপিই কিটকে বর্ষাতির মতো ব্যবহার করতেও দেখা যাচ্ছে তাদের। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শাসন এলাকায়।
দিন কয়েক আগে পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলা করোনার সংক্রমণের দৈনিক হারের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে ছিল। বর্তমানে সংক্রমণ কমেছে। কিন্তু রাস্তার ধারে পিপিই কিট পড়ে থাকার ঘটনায় ফের সংক্রমণ ছড়ানোর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শাসন থানা এলাকার বেলিয়াঘাটা কাচকল থেকে রাজারহাট পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ কিলোমিটার রাস্তার আশপাশের এলাকায়। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শিশুরা না জেনেই ওই পিপিই কিট নিয়ে আসছে বাড়িতে।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কাচকল, সোনাটিকারি, সন্ডালিয়া রেল গেটের আশপাশ, খড়িবাড়ির মেছো ভেড়ি এলাকায় যত্রতত্র পড়ে রয়েছে পিপিই কিট। স্থানীয়েরা জানান, ওই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করে অ্যাম্বুল্যান্স। স্থানীয়দের ধারণা, রাতের অন্ধকারে পিপিই কিট অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের কেউ কেউ ফেলে যেতে পারেন। কোভিড বর্জ্য যে ভাবে নষ্ট করা উচিত, সব জায়গায় তা হচ্ছে কি না, তা নিয়েও এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে।
সোনাটিকারির বাসিন্দা আব্বাস সিদ্দিকির কথায়, ‘‘রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গা বা জঙ্গলে পড়ে থাকছে পিপিই কিট। বাচ্চারা বিপদের বিষয়টি না জেনেই সেগুলি নিয়ে আসছে।’’ আতিয়ার রহমান নামে খড়িবাড়ির এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘স্কুল বন্ধ। শিশুরা এ দিক ও দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা পিপিই কিট কুড়িয়ে খেলছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা কারিমা বিবি, নাজমা সুলতানা, রাকিয়া বেগমেরা জানাচ্ছেন, তাঁদের বাড়ির বাচ্চারাও বর্ষাতি ভেবে পিপিই কিট কুড়িয়ে এনেছে। ঘটনায় অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন স্থানীয় মানুষ।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত ঘটনার কথা শুনে বিস্মিত হন। তিনি বলেন, ‘‘এমন তো হওয়ার কথা নয়। আশপাশে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা নার্সিংহোম আছে কি না, খোঁজ নিয়ে দেখছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, একটি বেসরকারি স্কুলের গেটের সামনে ব্যবহৃত পিপিই কিট পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল। রবিবার সকালে, হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্ক সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রক্তের দাগ লাগা পিপিই কিটটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকে। কে বা কারা কী কারণে এই ভাবে কিটটি ফেলে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরে হাওড়া পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ দফতরের কর্মীরা এসে কিটটি নিয়ে যান।