ভুঁড়ি বাড়ছে। কিন্তু পুলিশ করছেটা কী? ভুঁড়ি কমাতে কতটা সচেষ্ট তারা? ফের প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশ।
কনস্টেবলরা দিনে গড়ে এক কিলোমিটারও হাঁটেন কি? পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক সতর্কতা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে শুক্রবার রাজ্যের কাছে এ প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। আগের শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের ডিজি-র হলফনামা চেয়েছিল। বিচারপতি মাত্রে এ-ও জানতে চান, পুলিশকর্মীদের উচ্চতা ও দেহের ওজনের ভারসাম্য বজায়ের পরীক্ষা নিয়মিত হয় কি না।
এ দিন স্বরাষ্ট্র দফতরের দুই কর্তার হলফনামা পেশ করেন সরকারি কৌঁসুলি তপন মুখোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, শারীরিক ভাবে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার যথেষ্ট সক্ষম।
বিচারপতি মাত্রে মন্তব্য করেন, ‘‘বাকিরা (পুলিশকর্মীরা) ডিজি, সিপি-কে অনুসরণ করেন না কেন?’’ তপনবাবুকে প্রশ্ন করেন, ‘‘কনস্টেবলরা দিনে গড়ে এক কিমি হাঁটেন কি? দুর্ভাগ্যবশত, নিচুতলার পুলিশকর্মীদের ভুঁড়ি কমছে না!’’
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন স্বরাষ্ট্র দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা পুলিশ এলাকার দু’টি থানা বেছে কর্মীদের ‘ডিউটি রোস্টার’ সংক্রান্ত রিপোর্ট কোর্টে দিতে হবে। রিপোর্টে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক সতর্কতা সংক্রান্ত কী কী পরীক্ষা হয়? স্বাস্থ্য পরীক্ষা কত দিন অন্তর হয়? পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণ-সূচিও জানাতে হবে ওই রিপোর্টে। তিন সপ্তাহে ডিভিশন বেঞ্চে ওই রিপোর্ট দিতে হবে।