অব্যবস্থা: ভোটকর্মীদের ফেলা আবর্জনায় ভরেছে বাবুঘাট সংলগ্ন ময়দান। সোমবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
প্রাথমিক হিসাবে অনুমান করা হয়েছিল, ৩০০টি গাড়ি হলেই সমস্ত বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব। কিন্তু কোভিড-বর্জ্যের বহর দেখে নামানো হয়েছিল আরও ৩০০টি, অর্থাৎ মোট ৬০০টি গাড়ি। কারণ পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের দিন সব বুথ মিলিয়ে উৎপন্ন কোভিড-বর্জ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ হাজার কিলোগ্রাম!
একেই করোনা সংক্রমণ চলছে। তার মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। ফলে, পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের অধীনস্থ সমস্ত বুথেই কোভিড-বিধি মানা বাধ্যতামূলক ছিল। সেই কারণে প্রতিটি বুথেই মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই কিট-সহ কোভিড-বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। তথ্য বলছে, পুর এলাকার ১৬৮৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ছিল ৪৯৫৯। গড়পরতায় দেখা গিয়েছে, ভোটকেন্দ্র-পিছু প্রায় ১০ কেজি কোভিড-বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে কোভিড-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে এই বলে সমালোচনা হয়েছিল যে, কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় নজরদারির খামতি রয়েছে। যা নিয়ে মামলাও দায়ের হয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতে। সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘কোভিড-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা ঠিক মতো না হলে তা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেয়।’’ ফলে এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের দিন সংশ্লিষ্ট বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার উপরে বাড়তি নজর ছিল।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রমাকান্ত বর্মণ জানাচ্ছেন, বিধানসভা ভোট কয়েক দফায় হওয়ায় কোভিড-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার কাজ তুলনামূলক ভাবে সহজ ছিল। কিন্তু, পুর নির্বাচনের দিনের কাজ ছিল অনেক বেশি কঠিন। রমাকান্তবাবুর কথায়, ‘‘সাধারণ দিনে শহরে গড়ে ৬০০০ কিলোগ্রাম বা ৬ টনের মতো কোভিড-বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সেখানে ভোটের দিন তার দ্বিগুণেরও বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছিল!’’