—ফাইল চিত্র।
আজ, শনিবার থেকে সশরীরে মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে সম্মত হলেন আলিপুর আদালতের আইনজীবীরা। শুক্রবার আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে আলিপুরের জেলা বিচারক একাধিক বার নির্দেশিকা জারি করে আইনজীবীদের কাছে আবেদন করেছিলেন, তাঁরা যেন পরীক্ষামূলক ভাবে সশরীরে শুনানিতে অংশ নেন। কিন্তু আদালতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেই, এই অভিযোগ তুলে আইনজীবীরা রাজি হননি। এ দিন বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় তাঁরা নিজেরাই সব রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে শুনানিতে অংশ নিতে সম্মত হন। তবে জেলা বিচারক, মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক এবং অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসের দরজায় জীবাণুনাশক সুড়ঙ্গ বসানোর জন্য জেলা বিচারকের কাছে আবেদন করা হবে বলে বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, মূলত ওই তিন বিচারকের এজলাসে সবচেয়ে বেশি মামলার শুনানি হয়। আইনজীবী, পুলিশকর্মী এবং অভিযুক্তদের পরিজনেরা মিলিয়ে সেখানে উপস্থিতি থাকে সবচেয়ে বেশি। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, ওই তিনটি এজলাস থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রভূত আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই এজলাসে ঢোকার মুখে জীবাণুনাশক সুড়ঙ্গ বসানোর আবেদন করা হচ্ছে।
এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যে মামলার শুনানি চলবে সেটির সঙ্গে জড়িত আইনজীবীরা ছাড়া আর কেউ এজলাস-কক্ষে থাকতে পারবেন না। ওই মামলার শুনানি শেষ হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বেরিয়ে যাবেন। তার পরেই পরবর্তী মামলার আইনজীবীরা এজলাসে প্রবেশ করবেন। এজলাস এবং আদালত চত্বরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক
করা হয়েছে বলেও বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আজ শনিবার থেকে আদালত চালু হলেও আগামী সোমবার থেকে পুরোপুরি কাজ শুরু হবে।