প্রতীকী চিত্র।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে সাড়ে ন’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন। এক মাসের মধ্যে ওই ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২০১৮ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ সল্টলেকে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন গৌরসুন্দর পাল (৬৪)। রক্তাক্ত বৃদ্ধকে প্রথমে সল্টলেকের ডিডি ব্লকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পরে তাঁকে আইবি ব্লকের অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৌরসুন্দরবাবুর মৃত্যু হয়। মৃতের স্ত্রী মালা পালের অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘ শুনানির পরে আইবি ব্লকের কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে স্বাস্থ্য কমিশন। মৃতের স্ত্রী অবশ্য দু’টি হাসপাতালের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছিলেন। প্রথম হাসপাতালের বিরুদ্ধে মালাদেবীর অভিযোগ হল, গুরুতর জখম রোগীর আপৎকালীন যে চিকিৎসা হওয়া দরকার, সেখানে তার কিছুই হয়নি। ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করেই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দ্বিতীয় হাসপাতালের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, রোগীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় দ্রুত রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
প্রথম হাসপাতালের অবশ্য কোনও গাফিলতি খুঁজে পায়নি কমিশন। শনিবার কলম্বিয়া এশিয়ার জেনারেল ম্যানেজার অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মৃতের চিকিৎসার গোল্ডেন আওয়ার প্রথম হাসপাতালে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে আমাদের যে বিশেষ কিছু করার ছিল না, তা কমিশনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও শুনানিতে বলেছিলেন। তার পরেও শুধু আমরা কেন আসামির কাঠগড়ায়, তা বুঝলাম না। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’’