আনন্দ কাঁড়ার। নিজস্ব চিত্র
বন্ধ কারখানার বাইরের শেড থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল ওই কারখানারই মালিকের ছেলের রক্তাক্ত দেহ। ওই যুবকের গলা ও ঘাড় ছিল মারাত্মক ভাবে ক্ষতবিক্ষত। কিছুটা দূরে মাটিতে পড়েছিল চাপচাপ রক্ত এবং একটি ভাঙা রক্তমাখা টিউবলাইটের টুকরো।
শনিবার সকালে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার ক্ষেত্র মিত্র লেনের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথম দিকে এলাকার বাসিন্দারা ও পুলিশও ঘটনাটিকে খুন মনে করলেও পরে একটি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ওঠা ছবি থেকে পুলিশের অনুমান, ঘটনাটি আত্মহত্যাও হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আনন্দ কাঁড়ার (৩৩)। বাড়ি আমতার জয়পুরে। পরিবারের সকলে জয়পুরে থাকলেও তিনি বর্তমানে সালকিয়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কারখানাটি ওই যুবকের বাবা চালাতেন। তিনি অসুস্থ হয়ে জয়পুর চলে যাওয়ার পরে আনন্দই তা দেখাশোনা করতেন। তবে ব্যবসায় মন্দার কারণে গত সাত-আট মাস ধরে কারখানাটি বন্ধ ছিল। অর্থাভাবে দেনায় জড়িয়ে পড়েন আনন্দ। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, রাতে ওই কারখানাতেই শুতে আসতেন আনন্দ এবং সেখানে নিয়মিত মদ্যপানও করতেন।
পুলিশের দাবি, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় স্পষ্ট দেখা গিয়েছে ওই যুবক টিউবলাইট ভেঙে প্রথমে নিজের গলায় ক্ষতবিক্ষত করছেন। এর পর টলতে টলতে কারখানার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি রিকশার উপর উঠে কারখানার শেড থেকে গলায় দড়ির ফাঁস দেন। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ জানান, সিসি ক্যামেরার ছবির পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপরে ঘটনাটির তদন্ত নির্ভর করছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।