রুদ্ধ: স্কুলের সামনে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। ছবি: রণজিৎ নন্দী
ফি বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে নাগরিক দুর্ভোগ ডেকে আনলেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। শুক্রবার সকালের ব্যস্ত সময়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে স্কুলের সামনে ম্যান্ডেভিল গার্ডেন্সের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হয় অসংখ্য মানুষকে।
সম্প্রতি ওই স্কুলের ফি বৃদ্ধির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। সেই বৃদ্ধির পরিমাণ ২৩-২৫ শতাংশ বলে অভিযোগ। অভিভাবকদের বক্তব্য, প্রতি বছর ফি বাড়লেও এ বারের বৃদ্ধির হার খুবই বেশি। এ দিন সকাল
সাড়ে ১০টা নাগাদ সাউথ পয়েন্টের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকেরা। তাঁরা দাবি জানান, জুনিয়র স্কুলের প্রিন্সিপালকে বাইরে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওই বিক্ষোভের মধ্যেই সকালের বিভাগের ছুটি হয়ে যায়। দিবা বিভাগের পড়ুয়ারা তখন স্কুলে ঢুকছিল। বিক্ষোভের জেরে
কিছু ক্ষণ পড়ুয়ারা স্কুলে ঢুকতে ও বেরোতে পারেনি।
এ দিন অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধিদল প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করে। সেই প্রতিনিধিদলের তরফে পূজা সামন্ত বলেন, ‘‘প্রিন্সিপালকে আমাদের দাবির কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছি। উনি বলেছেন, ফি কমানো বা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্কুলের বোর্ড অব ডিরেক্টর্স-ই নিয়ে থাকে। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে ডিরেক্টরদের সঙ্গেই কথা বলতে চাই বলে জানিয়েছি।’’ অভিভাবকেরা জানান, সাত দিনের মধ্যে ডিরেক্টরদের সঙ্গে কথা বলতে না পারলে তাঁরা ফের
আন্দোলনে নামবেন।
এ বিষয়ে সাউথ পয়েন্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ‘নো
অবজেকশন’ নিতে গেলে তাঁদের জানাতে হয়, সরকারি শিক্ষকদের সমহারেই শিক্ষকদের বেতন দেবেন তাঁরা। সিবিএসই বোর্ডকেও তা জানাতে হয়। এই পরিস্থিতিতেই ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তাঁদের নিতে হয়েছে। যদিও অভিভাবকদের দাবি, শিক্ষকদের বেতন যে হারে বেড়েছে, তার তুলনায় ফি বৃদ্ধির হার
অনেক বেশি।
কৃষ্ণ দামানি এ দিন বলেন, ‘‘এ বার অন্যান্য বছরের তুলনায় ফি বেশি বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু এটা এক বারই হচ্ছে। প্রতি বছর এই হারে ফি বৃদ্ধি হবে না।’’