কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে বারবার হস্তক্ষেপ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেই দ্বন্দ্ব যে মেটেনি তা ফের প্রমাণ হল।
কয়েক দিন আগেই কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে ক্রিকেট খেলা ঘিরে গোলমাল হয়েছিল। সেই একই ঘটনা ঘিরে দুই গোষ্ঠীতে হাতাহাতি বাধল বুধবার, আলিপুর ক্যাম্পাসের সহ সচিবের ঘরে। ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক সায়নী সরকারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দুই সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। তাদের থেকে রিপোর্ট চেয়েছি।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ দিন ওই ক্যাম্পাসে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের জন্য ক্রিকেট খেলা চলছিল। তাঁরা মূলত টিএমসিপি-র প্রাক্তন সভাপতি অশোক রুদ্রের গোষ্ঠী। কিন্তু বর্তমান সভানেত্রী জয়া দত্তের গোষ্ঠীর পড়ুয়ারা অভিযোগ করেন, খেলার অনুমতি ছিল না। পঠনপাঠনের অসুবিধা হওয়ায় খেলা বন্ধ করতে বলেন তাঁরা। তখনই গোলমাল বাধে। ক্যাম্পাসের সহ সম্পাদক অরিন্দম বণিকের কাছে দু’পক্ষই অভিযোগ জানাতে যান। সায়নী বলেন, ‘‘প্রসেনজিৎ ঘোষ এবং কয়েক জন চেয়ার ছুড়ে মারতে আসে। প্রথমে আটকালেও পরে ওরা দু’জন আমাকে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারতে থাকে।’’ প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা, সায়নী-সহ জনা কুড়ি ছেলে সহ সচিবের সামনেই আমাদের তিন জনকে মেরেছে।’’ আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তি নেই।’’ সহ সচিবকে বারবার ফোন করা হলেও ফোন তোলেননি।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে দুই গোষ্ঠীতে হাতাহাতি হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপেও বৈরিতা মেটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা আছে। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, যেন ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।’’