সিপিএমের অফিস দখল, দ্বন্দ্ব তৃণমূলে

সিপিএম ছেড়ে বুধবারই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। যার ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই অন্য বিবাদ। এবং ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তিনি রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ০০:৫১
Share:

দখল হওয়া পার্টি অফিস। —নিজস্ব চিত্র।

সিপিএম ছেড়ে বুধবারই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তিনি। যার ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই অন্য বিবাদ। এবং ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

Advertisement

তিনি রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায়। বুধবার তাঁর দল বদলের পরে রাত থেকেই রাজারহাটের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচটি সিপিএমের পার্টি অফিস তৃণমূল তাঁদের স্থানীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের ছবি দেওয়া হোর্ডিং ও দলীয় পতাকা লাগিয়ে দখল করে নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছে সিপিএম। অভিযোগের তির বিধায়ক সব্যসাচীবাবুর দিকেই।

রাজারহাটে সিপিএমের আঞ্চলিক শাখার সম্পাদক শুভাশিস দাশগুপ্ত জানান, গোপালপুর হাউস, নারায়ণপুর, দশদ্রোণ, বেড়াবেড়ি (পশ্চিম), নিরঞ্জনপল্লিতে রাতারাতি তাঁদের দলীয় পার্টি অফিস সাদা রং করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল আমাদের পার্টি অফিসগুলিতে বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের হোর্ডিং আর তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের সেখানে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।’’

Advertisement

স্থানীয় বিধায়কের নাম না করলেও পার্টি অফিস দখলের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন তাপসবাবুও। তিনি জানান, তাঁর নতুন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ রয়েছে জোর করে কোনও পার্টি অফিস দখল করা যাবে না। আর তাপসবাবুর নাম না করে সব্যসাচীবাবুর পাল্টা দাবি, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় সবাই তৃণমূল হয়ে গিয়েছেন। ফলে নিজেদের পার্টি অফিসে ঢুকে ভুল করেননি তাঁরা।

তাপসবাবু সিপিএমে থাকার সময় থেকেই তাঁর এবং সব্যসাচী দত্তের মধ্যে ‘সংঘাত’ স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে সর্বজনবিদিত। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকা তাপসবাবুর পুরনো তালুক। আবার বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সব্যসাচীবাবু সেখানে নিজের ‘দুর্গ’ তৈরি করে তাপসবাবুকে নিজের এলাকাতেই কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন। অনেকের মতে, এখন দল এক হলেও সেই সংঘাতের সম্পর্কের যে পরিবর্তন হয়নি, এ দিনের ঘটনাই তার প্রমাণ।

তৃণমূল সূত্রের খবর, নিজের এলাকায় পুরনো দলের পার্টি অফিস দখলের ঘটনা পুর-নির্বাচনের আগে তাঁর ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে আঁচ করে তাপসবাবু এ দিন সকালেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘উচ্চতর নেতৃত্বের নির্দেশ, জোর করে কোনও পার্টি অফিস দখল করা চলবে না। এতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা দলের বদনাম হবে। প্রয়োজনে জমির দলিল খতিয়ে দেখে পার্টি অফিস করা হবে। কেউ ব্যাক্তিগত সম্পত্তিতে পার্টি অফিস করতে দিলে আপত্তির কিছু নেই।’’

অন্য দিকে বিধায়ক সব্যসাচীবাবুর কথায়, ‘‘ওই সব জায়গায় সবাই তৃণমূল হয়ে গিয়েছেন। তৃণমূলের কর্মীরা তো দলীয় পার্টি অফিসে যাবেনই। তাঁরা তাঁদের পার্টি অফিস সাজাতেই পারেন। সিপিএমের কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশের কাছে যাক। প্রমাণ দিলে তখন অফিস খুলে দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement