নব মহাকরণের উল্টো দিকে এবং নিমতলা শ্মশানঘাটে গঙ্গার তীর পরিদর্শন করল জাতীয় পরিবেশ আদালতের গঠন করা বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ নিয়ে রিপোর্টও জমা পড়বে আদালতে। ২৪ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
গঙ্গাতীরে নির্মাণ করতে গিয়ে গঙ্গাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতের বিচারপতি প্রতাপকুমার রায় ও বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল গড়তে নির্দেশ দেয় আদালত। দলে সুভাষবাবুকেও থাকতে বলা হয়।
সেই নির্দেশ মেনেই বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ পরিদর্শক দল নব মহাকরণের উল্টো দিকে যায়। দলে বন্দর কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ার, কেএমডিএ এবং পুর-প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ওই জায়গায় গঙ্গাপাড়ে তৈরি হওয়া রাস্তা নদীতে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ। তার পরে দল যায় নিমতলায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিসমাধিস্থলে। সেখানে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা সমাধিস্থল ঘুরে দেখা হয়।
পরিদর্শনের পরে সুভাষবাবুর অভিযোগ, নদীর পাড়ে নির্মাণের কথা বলা হলেও গঙ্গাবক্ষে নির্মাণ হয়েছে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, সব নির্মাণ গঙ্গার পাড়েই হয়েছে। গঙ্গার কোনও ক্ষতি হয়নি। সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশের যুক্তি, কিছু নির্মাণের জন্য নদীর মধ্যে স্তম্ভ করা হয়েছে। এতে নদীর ক্ষতি হবে না। গঙ্গার তীরে নির্মাণ নিয়ে মুখ্যসচিবের রিপোর্টেও বলা হয়েছিল, নির্মাণ যা হয়েছে, সবই গঙ্গার তীরে।