(বাঁ দিকে) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কাটা গাছ (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও শহর ছাড়েননি। আচমকাই রাজপথে ‘প্রতিবাদী’ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চলে গেলেন বালিগঞ্জের রোনাল্ড রোডে। তবে এ বার শিক্ষা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে নয়। পরিবেশ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়ে বালিগঞ্জে পৌঁছন তিনি। রাজভবনে অভিযোগ এসেছিল, ওই এলায় একটি গাছ কাটা হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার সকালে অকুস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যপাল।
রাজভবনের দুয়ার এখন জনগণের জন্য অবারিত। সেখানে মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা, অভাব-অভিযোগের কথা জানান। আর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সে সব নিয়ে পদক্ষেপ করেন। রোনাল্ড রোড এলাকার মানুষ অভিযোগ জানিয়েছিলেন, একটি বিশাল সুপ্রাচীন গাছ বেআইনি ভাবে কেটে ফেলা হচ্ছে। খতিয়ে দেখতে বালিগঞ্জে যান রাজ্যপাল। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও। তার পর বোস জানান, কাটা গাছের স্মরণে তিনি রাজভবনে পিপুল গাছের চারা পুঁতবেন।
ঘটনাচক্রে, এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেন এবং দুবাই সফরের জন্য রওনা হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিমান যদিও নির্ধারিত সময়ের কিছুটা দেরিতে ওড়ে। যে সময়ে রাজ্যপাল বালিগঞ্জের রোনাল্ড রোডে পৌঁছন তখনও মমতার বিমান ওড়েনি।
কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানে পৌঁছে যাওয়া রাজ্যপালের নতুন নয়। এর আগে রামনবমীর অশান্তির পর হুগলির রিষড়ায় পৌঁছতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও ভাঙড় এবং ক্যানিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিষ্ফোরণের পরেও সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন বোস। রাজভবনের অদূরে আগুন লাগার ঘটনার পরেও সেখানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। উচ্চশিক্ষা নিয়ে যখন নবান্ন বনাম রাজভাবন সংঘাত তুঙ্গে তখন বালিগঞ্জে গাছ কাটা দেখতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল।