প্রতীকী ছবি।
মোটরবাইক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি পড়ে রয়েছেন রাস্তায়। পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে গাড়ি। কেউ দেখেও দেখছেন না। অনেক ক্ষেত্রে এ ভাবে পড়ে থেকেই মৃত্যু হয় আহতের। শহর পরিচিত এই ছবিতেই। দিন কয়েক আগে শহর দেখল মানবিকতার এক অন্য মুখ। এক আমলার সাহায্যে প্রাণে বাঁচলেন দুই যুবক। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অন্য জন।
গত বুধবার সল্টলেকের বাড়িতে ফিরছিলেন প্রশাসনিক ও কর্মিবর্গ দফতরের কমিশনার অমিত চৌধুরী। তিনি দেখেন, নিউ টাউন বাসস্ট্যান্ডের কাছে পড়ে রয়েছে একটি বাইক। পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে তিন যুবক।
এর পরে সময় নষ্ট না করে আহতদের নিজের গাড়িতে তুলে নেন অমিতবাবু। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁদের। পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, ওই তিন যুবক সল্টলেকের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। আহতদের নাম মধুকরকুমার সিংহ, বিশাল কুমার ও মনিন্দর সিংহ। মধুকর ও বিশালের বাড়ি বিহারে। মনিন্দর হাওড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতেই তিন জনকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল থেকে এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল ও মনিন্দরকে। সঙ্কটজনক অবস্থায় মধুকরকে স্থানান্তরিত করা হয় অন্যত্র। বর্তমানে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ওই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেল ইনচার্জ আর্যভট্ট ঘোষ বলেন, ‘‘অমিতবাবুর জন্য এতগুলো প্রাণ বেঁচে গেল। আমরা কৃতজ্ঞ। খবর পেয়েই হাসপাতালে যাই। মধুকরের পাশে ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা রয়েছেন। তাঁরাই চাঁদা তুলে সাধ্যমতো চিকিৎসার চেষ্টা করছেন। বিহারে মধুকরের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।
আর অমিতবাবুর কথায়, ‘‘চোখের সামনে তিনটি রক্তাক্ত ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখে প্রথমেই মনে হয়েছিল, অন্তত ছেলেগুলোর চিকিৎসার একটু চেষ্টা করি। আমার মনে হয়, সেটাই সকলের ভাবা উচিত।’’