GD Birla School

GD Birla School: সোমবার থেকে খুলছে জিডি বিড়লা স্কুল, তবে ফি বাকি থাকলে পড়ুয়াদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

আইনশৃঙ্খলার অবনতি, পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২৮
Share:

স্কুল খোলার নোটিস দিয়েছেন জিডি বিড়লা স্কুল কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব চিত্র।

সোমবার থেকে খুলছে জিডি বিড়লা স্কুল। শনিবার নোটিস দিয়ে এমনই জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে যাঁরা ফি দিয়েছেন তাঁদের জন্যই স্কুল খোলা হচ্ছে বলে ওই নোটিসে জানানো হয়েছে। ওই একই দিনে খুলছে শহরের আরও দু’টি নামী স্কুল— অশোক হল গার্লস এবং মহাদেবী বিড়লা।

Advertisement

জিডি বিড়লা স্কুলের দশম শ্রেণির এক পড়ুয়ার অভিভাবক অমৃতা সিংহ রায় বলেন, “গত ৪৮ ঘণ্টা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। মেয়েকে দেখেও বুঝতে পারছিলাম মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরছিল ওকে। সেই জায়গা থেকে ফের স্কুল খোলার বিষয়টি অবশ্যই স্বস্তি দিচ্ছে।” তাঁর মতে, “যে কারণেই স্কুল বন্ধ হোক না কেন, তার শাস্তি পড়ুয়ারা কেন পাবে? এমনিতেই কোভিডের কারণে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। তার উপর আবার অন্য কারণে পড়াশোনা ব্যাহত হলে বাচ্চাদের ক্ষতি হবে! এক জন অভিভাবক হিসেবে কখনওই চাইব না বাচ্চাদের পড়াশোনার কোনও ক্ষতি হোক।”

আইনশৃঙ্খলার অবনতি, পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুল এবং পাম অ্যাভনিউয়ের অশোক হল গার্লস স্কুল। নোটিস দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধের কথা ঘোষণা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে আতান্তরে পড়েন দুই স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। আগাম না জানিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশও করেন তাঁরা। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা জিডি বিড়লা স্কুলে গিয়ে দেখতে পান, স্কুল বন্ধের নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই ছবি দেখা গিয়েছিল অশোক হল গার্লস স্কুলেও। প্রায় দু’বছর করোনার কারণে বন্ধ ছিল স্কুল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আবার স্কুল খোলে। কিন্তু আরও এক নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। অভিভাবকদের একাংশ স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, ফি বাড়ানো চলবে না। যা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই স্কুলের সামনে অভিভাবকদের একাংশের আন্দোলন, বিক্ষোভ চলছিল। তার পরই বৃহস্পতিবার স্কুল কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ দেখিয়ে এবং পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement