জঞ্জালে বেহাল হয়ে এ ই ব্লকের বাজার

এক মাসের বেশি সময় ধরে সল্টলেকের এ ই বাজারের আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছে না। এই অভিযোগ ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এত দিন বাজার পরিষ্কার করতেন বিধাননগর পুরসভার এক কর্মী। পুরসভা সূত্রের খবর, তাঁকে অন্যত্র সরানো হয়েছে।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০১:৪৮
Share:

ছিঃ: আবর্জনার পাশেই চলছে কেনাকাটি। ছবি: শৌভিক দে

এক মাসের বেশি সময় ধরে সল্টলেকের এ ই বাজারের আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছে না। এই অভিযোগ ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এত দিন বাজার পরিষ্কার করতেন বিধাননগর পুরসভার এক কর্মী। পুরসভা সূত্রের খবর, তাঁকে অন্যত্র সরানো হয়েছে।

Advertisement

সল্টলেকের বড় ব্লক এ ই। পার্ট ওয়ান এবং পার্ট টু নিয়ে বাড়ির সংখ্যা এখানে দেড় হাজারের বেশি। এ ই বাজারের ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক লাল্টু বিশ্বাসের অভিযোগ, পুরসভার সাফাইকর্মী নিয়মিত বাজার পরিষ্কার করতেন। তাঁকে সরালেও অন্য কর্মী দেওয়া হয়নি। তাই কাগজকুড়ানি ডেকে কাজ চালানো হচ্ছে।

পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অনেক দোকান মালিক পুরসভাকে নিয়মিত দোকানের ভাড়া দিচ্ছেন না। দোকান মালিকদের একাংশের বক্তব্য, যাঁরা দিচ্ছেন না তাঁদের কর দিতে বাধ্য করা হোক। কিন্তু যাঁরা কর দিচ্ছেন তাঁরা পরিষেবা পাবেন না কেন? বাজারের যত্র তত্র জঞ্জাল ছড়িয়ে থাকায় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন।

Advertisement

ক্রেতাদের অভিযোগ, বিধাননগর পুরনিগমে পরিষেবার অবনতি হয়েছে। তাই নোংরা মাড়িয়ে বাজার করতে হয় ক্রেতাকে। বাসিন্দা ও ব্লক কমিটির সদস্য অমিতকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলেছে।’’

মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘পুর এলাকা বেড়েছে। অথচ কর্মী কম। সল্টলেকে মোট ১৫টি বাজার আছে। বাজারের বাইরের জঞ্জাল পুরসভা তোলে। বাজার কমিটি সর্বত্র লোক দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করে। এ ই বাজারের ব্যবসায়ীদেরও তাই করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement