আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক-ছাত্রীকে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার পরেই নিরাপত্তা বাড়ানো হল শহরের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধির প্রস্তাব যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনই সিসি ক্যামেরা লাগানোর উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে বৈঠক করেন এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর। সেখানে হাসপাতাল চত্বরে থাকা সিসি ক্যামেরার উপরে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য যে ঘর থেকে সিসি ক্যামেরার ছবি দেখা যায়, সেখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মী রাখার জন্য বলা হয়েছে। এর সঙ্গেই হাসপাতালের ফাঁকা ঘরগুলিকে চিহ্নিত করে তা তালাবন্ধ করে রাখতেও বলা হয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে, যারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে। এর সঙ্গে হাসপাতালে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্যও পুলিশের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, এ দিনই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব নেন সুহৃতা পাল। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সূত্রের খবর, হাসপাতালে ৫০টি সিসি ক্যামেরা নতুন করে লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। নতুন অধ্যক্ষ এ দিন নির্দেশ দেন, পুলিশ, পূর্ত দফতর, প্রতিটি বিভাগে কর্তব্যরত নার্স,
হাসপাতালের আধিকারিকদের নিয়ে আগে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় কোল্যাপসিবল গেটও বসানো হবে। পুলিশকে সেই সব জায়গা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, একই বৈঠক হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে। সেখানে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পুলিশের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ওই হাসপাতাল চত্বরে বর্তমানে থাকা প্রায় ৩০০টি সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০০টি করতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গেই হাসপাতালের সর্বত্র আলো লাগানোর জন্য পূর্ত দফতরকে বলেছে পুলিশ।