চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন যুবককে। বুধবার সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে সুরজিৎ ঘোষ, মানস গোস্বামী এবং প্রসূন সরকার নামে ওই তিন জনকে ধরা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোনে একটি নামী স্টিল প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রতিনিধি বলে পরিচয় দিতেন অভিযুক্তেরা। চাকরির ইন্টারভিউ হবে বলে কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে তাঁরা মঙ্গলবার সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ে ডেকে পাঠান।
চাকরিপ্রার্থীরা গেলে, অভিযুক্ত এক যুবক ইন্টারভিউয়ের উপযুক্ত পোশাক ও নথি ফোটোকপি করার জন্য প্রত্যেকের থেকে ১০ হাজার টাকা নেন বলে অভিযোগ। তার পরে চাকরিপ্রার্থী যুবকদের এক জনের কাছ থেকে তিনি মোবাইল ফোনও চেয়ে নিয়ে ‘বস’-এর সঙ্গে কথা বলার ভান করে ভিড়ের মধ্যে উধাও হয়ে যান। তিন যুবক থানায় এসে অভিযোগ জানান।
পুলিশ অভিযোগকারীদের কাছ থেকে ওই যুবকের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফাঁদ পাতে। দেখা যায় অভিযুক্ত যুবক সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরেই ঘোরাফেরা করছেন। এর পরেই পুলিশ চাকরির চাওয়ার ফাঁদ পেতে ধরে ফেলে ওই যুবককে। তাঁকে জেরা করে পাওয়া যায় ওই চক্রের আরও দু’জনকে।
গ্রেফতার ৪ প্রতারক। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম প্রিয়াঙ্কা মিত্র। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। তাঁর স্বামীরও খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগুইআটির তেঘরিয়া এলাকায় বছর দুয়েক আগে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী। সেখানে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
প্রিয়াঙ্কা নিজে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার প্রাক্তন বিমানসেবিকা। ওই কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের জন্য সাত হাজার টাকা নেওয়া হতো। প্রশিক্ষণের শেষে চাকরি দেওয়ার জন্য ৮০ হাজার টাকা নিত কেন্দ্রটি। সেখানে অবশ্য ‘প্লেসমেন্ট ফি’ না লিখে ‘কনসালটেশন ফি’ লেখা হতো।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেঘরিয়া থেকে ওই কেন্দ্রটি সম্প্রতি চিনার পার্কে স্থানান্তরিত হয়েছিল। এক চাকরিপ্রার্থী মঙ্গলবার বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, ৮০ হাজার টাকা দিয়েও দু’বছর ধরে চাকরি পাননি তিনি। ওই প্রার্থীকে বেসরকারি বিমান সংস্থায় চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুয়ো কাগজ দেওয়া হয়েছিল।
অন্য দিকে, রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার তিন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে স্বপন সাহা, শঙ্কর সিংহ, রাহি সিংহকে ধরে রেল পুলিশ। অভিযোগ, তাঁরা একাধিক ব্যক্তির থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি দেননি কাউকেই।