—প্রতীকী চিত্র।
হবু জামাই যে এতটা ‘সুপাত্র’, ঘুণাক্ষরেও তা টের পাননি বেলেঘাটার বৃদ্ধা। যত ক্ষণে পেলেন, তত ক্ষণে গলে গিয়েছে ৭৭ হাজার টাকা! ‘জামাই’ ফিরে না পান, টাকাটা যাতে ফেরে, তার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তদন্তে নামলেও বেলেঘাটা থানা সোমবার রাত পর্যন্ত না পেয়েছে ফেরার হয়ে যাওয়া ‘সুপাত্রের’ হদিস, না উদ্ধার করতে পেরেছে টাকা!
পুলিশ সূত্রের খবর, গত নভেম্বরে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন মারফত বেলেঘাটার ওই বৃদ্ধার সঙ্গে আলাপ হয় দিব্যেন্দু রায়ের। ‘চিকিৎসক পাত্র’ দেখে আপত্তি করেননি বৃদ্ধা। তাঁর মেয়ের সঙ্গেও আলাপ জমে ওঠে দিব্যেন্দুর। এক দিন সে জানায়, তার মায়ের হার্টে সমস্যা ধরা পড়েছে। কিন্তু চিকিৎসার টাকা নেই। তাকে কয়েক দফায় ৭৭ হাজার টাকা দেন বৃদ্ধা। তার পর থেকেই দিব্যেন্দুর মোবাইল বন্ধ।
পুলিশ জানায়, দিব্যেন্দুর দেওয়া ঠিকানা ভুয়ো। দিব্যেন্দুর সম্পর্কে জানতে তার কিছু পরিচিতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন বৃদ্ধা। তারা বলেছিল, দিব্যেন্দু চিকিৎসক। তদন্তে জানা যায়, তারা দিব্যেন্দুরই শাগরেদ। দিব্যেন্দু টাকা নিয়েছিল চারটি নম্বরের ভিত্তিতে খোলা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে। সেই ওয়ালেটে দেওয়া নথি আসল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।