প্রতীকী ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ার মেসেঞ্জার থেকে প্রথমে ‘হাই-হ্যালো’। তার পরেই টাকা চেয়ে মেসেজ। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা এ ভাবে টাকা
চাইছেন দেখে সন্দেহ হয় এক ব্যক্তির। তৎক্ষণাৎ তিনি কথাবার্তার ‘স্ক্রিন-শট’ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দেওয়ালে পোস্ট করেন। তা থেকেই শুক্রবার রাতে হাওড়া সিটি পুলিশ জানতে পারে, ডেপুটি কমিশনারের (সদর) উর্দি পরা ছবি ও নাম ব্যবহার করে একটি ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয়েছে। সেখান থেকে ওই প্রতারণা চালানো হচ্ছে।
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কথাবার্তায় দেখা যায়, প্রতারক ৪০ হাজার টাকা দাবি করেছে। এবং সেটি অনলাইনে পাঠাতে বলা হয়। বিষয়টি জানার পরে ওই রাতেই ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা হয়। তদন্ত শুরু করে সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। তদন্তে আধিকারিকদের অনুমান, যে ভাবে এবং যে ভাষায় কথাবার্তা চালানো হয়েছিল, তাতে মনে হয়েছে প্রতারক হিন্দিভাষী। পাশাপাশি এটাও তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ঘটনার পিছনে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং কিংবা ওই রাজ্যেরই অন্য কোনও দল সংগঠিত ভাবে কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছে হাওড়া সিটি পুলিশ।
কয়েক মাস আগে হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার কুণাল আগরওয়ালের নামেও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। পুলিশই সেটি চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেয়। তবে সেটির ক্ষেত্রে ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কারও থেকে টাকা চাওয়া হয়নি।
হাওড়া কমিশনারেটের যে কর্তার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা চাওয়া হয়েছিল, সেই ডেপুটি কমিশনার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অনেকের নামেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা চলছে। পুলিশের তরফে নাগরিকদেরও সচেতন করা হচ্ছে।’’