আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত চার আমলা

আইনজীবীরা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে সংস্থা খবর পায়, ওই জমিতে পার্ক তৈরি হতে চলেছে। এর পরে তারা ‘নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি’-র বিরুদ্ধে সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ করে। ওই সংস্থা কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা জমি থেকে শুধু আবর্জনা পরিষ্কার করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৮ ০০:৩৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের চার আমলার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হবে না, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিউ টাউনের একটি জমির লিজ সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার ওই আমলাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ‘রুল ইস্যু’ করেছেন।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, ২০১১ সালে নগরোন্নয়ন দফতর পাঁচ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা একটি জমি লিজ দেয় অংশীদারি এক সংস্থাকে। সংস্থার আইনজীবী অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, লিজ পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে জমিতে সংস্থা নির্মাণ করেনি, এই যুক্তিতে নগরোন্নয়ন দফতর লিজ বাতিল করে। সংস্থার তরফে জানানো হয়, লিজ দেওয়া হলেও জমির দখল দেওয়া হয়নি। তাই জমি ফেরানো হোক। তা না পেয়ে হাইকোর্টে যায় সংস্থাটি। ২০১৬ সালে তৎকালীন বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই জমি যেন কাউকে না দেওয়া হয়।

আইনজীবীরা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে সংস্থা খবর পায়, ওই জমিতে পার্ক তৈরি হতে চলেছে। এর পরে তারা ‘নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি’-র বিরুদ্ধে সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ করে। ওই সংস্থা কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা জমি থেকে শুধু আবর্জনা পরিষ্কার করছেন।

Advertisement

এপ্রিলে অংশীদারি সংস্থার কর্তৃপক্ষ তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চান, ওই জমি কাউকে লিজ দেওয়া হয়েছে কি না। জানা যায়, জমির লিজ বাতিল করে তা গত অক্টোবরে হস্তান্তর করা হয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরকে। আরও জানা যায়, জমিতে ইতিমধ্যে পার্কও তৈরি হয়ে গিয়েছে।

অংশীদারি সংস্থার আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন জমি তৃতীয় পক্ষকে দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলা হয় বিচারপতি মান্থার আদালতে। এই মামলার আগের শুনানিতে বিচারপতি মান্থা সরকারি কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন, নগরোন্নয়ন দফতর অংশীদারি সংস্থাকে অন্য কোনও জমি দিতে পারে কি না, তা আদালতকে জানাতে। সংস্থার আইনজীবীরা জানান, এ দিন সরকারের তরফে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, নগরোন্নয়ন দফতরের চার আমলার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার মামলা হবে না, তা ছ’সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement