আরম্ভ: করোনার প্রতিষেধক নিচ্ছেন এক পুলিশ আধিকারিক। সোমবার, ভবানীপুরের পুলিশ হাসপাতালে। ছবি: সুমন বল্লভ
কলকাতা পুলিশের বিদায়ী কমিশনার অনুজ শর্মাকে (এ দিনই তিনি এডিজি সিআইডি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন) দিয়েই শুরু হল কলকাতা পুলিশের কর্মী-অফিসারদের করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি। সোমবার ভবানীপুরে কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে ওই প্রতিষেধক কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানে প্রথম প্রতিষেধক দেওয়া হয় ওই পুলিশকর্তাকে। এর পরে প্রতিষেধক নেন লালবাজার হেড কোয়ার্টার ফোর্সের ওসি রবীন বন্দ্যোপাধ্যায়। লালবাজার জানিয়েছে, এ দিন মোট ৮০ জনকে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।
এ রাজ্যে করোনার প্রবেশ ও লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে রাস্তায় নেমে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করেছে কলকাতা পুলিশ। আর তা করতে গিয়েই গত এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ২৩ জন কর্মী বা অফিসার। আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪৭ জন। বর্তমানে আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের দু’জন সদস্য, যাঁদের মধ্যে এক জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। অন্য জন বাড়িতে রয়েছেন।
এ দিন প্রতিষেধক নিয়ে বেরিয়ে এসে কলকাতা পুলিশের সদ্য-প্রাক্তন কমিশনার বলেন, ‘‘প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি নিয়েছি। দ্বিতীয় দফায় ২৮ দিন পরে নেব।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য মোট ১০০ জনের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষেধক গাইডলাইন মেনে চলার জন্য বাকিদের পক্ষে এ দিন প্ৰতিষেধক নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁদের অন্য দিন দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানায়, আগামী দিনে কলকাতা পুলিশের ৩৭৮৫০ জন কর্মী-অফিসার ওই প্রতিষেধক নেবেন। প্রথম দিন কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে এই প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ হলেও বাকিদের ক্ষেত্রে তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি কোনও হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। কারা কোন দিন ওই প্রতিষেধক নিতে পারবেন, তা লালবাজার থেকে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই প্রতিষেধক নিতে যাতে বাহিনীর কোনও সদস্য ভয় না পান এবং তাঁদের মনোবল অটুট থাকে, তার জন্য এ দিন সবার প্রথমে প্রাক্তন কমিশনারই ওই প্রতিষেধক নিয়েছেন।