ভেজাল রুখতে অনলাইনে লাইসেন্স

এ বার অনলাইনে লাইসেন্স দেওয়া হবে খাবার বিক্রেতাদের। ভারত সরকারের নির্দেশে ওই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে কলকাতা পুরসভায় সূচনা হল এই ব্যবস্থার। ছিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ ও রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব মলয় দে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:৪৯
Share:

এ বার অনলাইনে লাইসেন্স দেওয়া হবে খাবার বিক্রেতাদের। ভারত সরকারের নির্দেশে ওই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে কলকাতা পুরসভায় সূচনা হল এই ব্যবস্থার। ছিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ ও রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব মলয় দে। পুরকর্তাদের কথায়, অনলাইন লাইসেন্স দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দোকানের যাবতীয় নথিপত্রও চলে আসবে পুরসভার তথ্যভাণ্ডারে। ফলে কে কোন খাবারের ব্যবসা করছেন, কোথাও কোনও গলদ রয়েছে কি না— সবই ধরা যাবে কম্পিউটারে ক্লিক করলেই।

Advertisement

ভারত সরকারের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্স অ্যাক্ট ২০০৬ অনুযায়ী যে কোনও রকম ভেজাল খাবার বিক্রি ও মানুষের শরীরের পক্ষে যা ক্ষতিকর তেমন কিছু খাবারে মেশানো নিষিদ্ধ। পুরসভার ভেজাল দফতরটি দীর্ঘকাল ধরে থাকলেও তেমন কোনও কাজ হয়নি বলে ‘বদনাম’ রয়েছে পুরসভার। ওই দফতরে যে তেমন কোনও সদর্থক কাজ হয়নি, তা জানিয়েছেন পুরসভার অনেক কাউন্সিলরই। বরং যত্রতত্র ভেজাল এবং ক্ষতিকর জিনিস খাবারে মিশিয়ে তা অবাধে বিক্রি চলছে। কড়া গ্রীষ্মে তেষ্টা মেটাতে রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে রঙিন জল। তবে পুজোর সময়ে অবশ্য শহরের কিছু এলাকায় ভেজাল রোধে অভিযান চালায় পুরসভার টিম।

নতুন এই ব্যবস্থায় কী সুবিধা হবে?

Advertisement

মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, যাঁরা খাবার বিক্রির ব্যবসা করেন তাঁদের লাইসেন্স পাওয়া অনেক সহজ হবে। সংশ্লিষ্ট বরো অফিসে আবেদন করতে হবে। সেখানে কাগজপত্র ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট ফি দিলেই অনলাইনে লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যাবে। এ দিন দু’জন দোকানদারকে (ভেন্ডর) লাইসেন্স দেওয়া হয়। শহরের সব খাবারের দোকান জুড়ে একটি তথ্যভাণ্ডার করাই রাজ্যের উদ্দেশ্য। আপাতত কলকাতা দিয়েই তা শুরু হচ্ছে বলে জানান পুরকর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement