প্রতীকী ছবি
অনুরোধ করলেও শুনছেন না অনেকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাজার নিয়ম ডিঙিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উড়ান ধরতে গিয়ে বিমান পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগছে বিস্তর। তাই সোমবার কলকাতা থেকে গড়ে ৮০টি উড়ানের পরিষেবা চালু হওয়ার প্রাক্কালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেছিলেন, যাত্রীরা যেন অন্তত উড়ান ছাড়ার তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছে যান। কিন্তু অভিযোগ, এ দিনও অনেকেই মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে পৌঁছেছেন।
ফলে বিমানবন্দরের বাইরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে যাত্রীদের সময় তো নষ্ট হয়েছেই। তাঁদের উড়ান ধরাতে গিয়ে একাধিক উড়ান ছাড়তে দেরি হয়েছে বলেও বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। ঠিক ছিল, সোমবার কলকাতা থেকে ৮০টি উড়ান ছাড়বে, ৮০টি নামবে। কিন্তু সেই সংখ্যাটা প্রথমে কমে ৭৪ হয়। তার পরেও কিছু উড়ান বাতিলের পরে এ দিন শেষ পর্যন্ত কলকাতা থেকে প্রায় ৬০টি বিমান উড়েছে, ৬০টি নেমেছে। বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানান, শহর থেকে গড়ে প্রতি উড়ানে ১১০ জন করে যাত্রী গিয়েছেন। আসার উড়ানে নেমেছেন গড়ে ১৫০ জন যাত্রী। শহরে আসা প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। তবে সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে বেশি উড়ান থাকায় বিমানবন্দরের বাইরে প্রায় আধ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন যাত্রীরা। প্রত্যেকের ব্যাগ জীবাণুমুক্ত করতে, তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা মাপতে, পরিচয়পত্র এবং টিকিট পরীক্ষা করতে, আরোগ্য সেতু অ্যাপ খতিয়ে দেখতে সময় চলে যাচ্ছিল। ফলে সকালে একাধিক গেট খোলা হয়। বাড়ানো হয় নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। পরে সেই অপেক্ষার সময় কমে গড়ে ১৫-২০ মিনিট হয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার থেকে উড়ান সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দিনে সেই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৯০ ছুঁতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমপানের ১২ দিন পরেও খোলা আকাশই ওঁদের ঠিকানা