—ফাইল চিত্র
তদন্ত শেষ হওয়ার আড়াই বছর পরে চার্জশিট জমা পড়েছে আদালতে। কিন্তু সেই চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে ভুল ধরতে পেরেছেন বিচারক। সেই ভুলের পিছনে পুলিশ এবং অভিযুক্ত পক্ষের ‘যোগসাজশ’ কাজ করেছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। কলকাতার পুরসভার দায়ের করা অবৈধ নির্মাণের মামলায় ‘ভুলে ভরা’ তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসি এবং তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর)-কে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুর আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপকুমার অধিকারী। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা-ও আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, এই মামলার তদন্ত করে চার্জশিটে কিছুই স্পষ্ট করে বলেননি তদন্তকারী, কেস ডায়েরিতেও গরমিল রয়েছে। নির্মাণের কী অবস্থা, কে তার মালিক, কোনও কিছুই বলা নেই। নির্মাণের কোনও অনুমোদিত নকশা ছিল কি না, তারও উল্লেখ নেই। এই সব গাফিলতির ব্যাখ্যা দিতে ওসি এবং তদন্তকারী অফিসারকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ নতুন নয়। পুলিশ ও পুরসভা সূত্রের খবর, মামলা দায়ের হওয়ার পরে বহু ক্ষেত্রেই নামমাত্র তদন্ত করে ফেলে রাখা হয়। বহু দিন পরে চার্জশিট জমা পড়ে। সেই ফাঁকে নির্মাণও হয়ে যায়। সম্প্রতি পুর আদালত এমন ঘটনা তুলে ধরে একের পর এক পুলিশ অফিসারকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। এই ধরনের মামলায় গাফিলতি হলে কী করতে হবে, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। পুর আদালতের নির্দেশে তারও উল্লেখ থাকছে।