ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
সবুজায়ন প্রকল্পে কোথায়, কত গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে, তা নিয়ে শুক্রবার শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার উদ্যান এবং গালিচা বিভাগ (পার্কস অ্যান্ড স্কোয়ার্স) ও বরো অফিসের মাধ্যমে কত গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে, তার হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘‘কত গাছের চারা রোপণের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, কোথায় কোথায় সেই কাজ চলছে, সেই সামগ্রিক রিপোর্ট এখানে রয়েছে।’’ পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, পুর ইতিহাসে এই প্রথম বার গাছের চারা রোপণ সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশ করলেন কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, সবুজায়ন প্রকল্পে শহরে কত গাছ রোপণ করা হয়েছে, আমপান, ইয়াস-সহ ঘূর্ণিঝড়ে কোথায় কত গাছ পড়েছে, তার ক্ষতিপূরণে কোথায় কত গাছ রোপণ করা হয়েছে, তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইনে সেই সব তথ্য জানতে চেয়ে পুরসভার কাছে চিঠি দিয়েছিলেন অঙ্কুর শর্মা নামে এক আইনজীবী। উত্তরে পুরসভার তরফে জানানো হয়, এমন কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। প্রতি মাসে লক্ষ টাকা খরচ করে গাছের চারা কেনা হলেও কেন তার হিসাব নেই, স্বাভাবিক ভাবেই তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দরপত্র ডেকে জনগণের টাকায় চারা কেনা হলেও তার ন্যূনতম হিসাব পুরসভায় থাকবে না কেন, প্রশ্ন উঠে যায় তা নিয়েও। অঙ্কুর শর্মার বক্তব্য, ‘‘চারা রোপণ সংক্রান্ত যা কিছু জানতে চাওয়া হয়েছে, সবেতেই পুরসভার উত্তর, ‘নট অ্যাভেলেবল’! কোটি টাকা খরচ করে চারা কেনা হচ্ছে, অথচ তার হিসাব নেই? এটা কি স্বাভাবিক?’’
গত ১০ অগস্ট এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশের পরে ১১ অগস্ট মেয়র ঘোষণা করেছিলেন, গাছের চারা রোপণ সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে পুরসভা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ১৮ অগস্ট তা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু তখন রিপোর্ট সম্পূর্ণ না হওয়ায় আনুষ্ঠানিক ভাবে তা এ দিন প্রকাশ করা হয়। মেয়র জানান, সব গাছ লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এমন নয়। কিন্তু গত ছ’মাসে গাছের চারা কেনা সংক্রান্ত কত ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে, কোথায় গাছ রোপণের কাজ চলছে, এমন সমস্ত তথ্যের উল্লেখ আছে রিপোর্টে।