বোর্ড ভাঙার হুঁশিয়ারি ফিরহাদের

উল্লেখ্য, বোর্ড গঠনের পর থেকেই বিধাননগরের পুরবোর্ড গোষ্ঠী রাজনীতিতে জেরবার বলে অভিযোগ। তার জেরেই সেখানে উন্নয়নের কাজ বাধা পাচ্ছে বলে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট গিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৩
Share:

পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।

সময়ে কাজ শেষ না করতে পারলে চন্দননগরের মতোই ভেঙে দেওয়া হতে পারে বিধাননগরের পুরবোর্ড। কার্যত এ ভাবেই বৃহস্পতিবার সেখানকার পুরকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দফতরে সূত্রে তেমনই খবর মিলেছে। তবে পুরমন্ত্রী মুখে সে কথা স্বীকার করেননি।

Advertisement

উল্লেখ্য, বোর্ড গঠনের পর থেকেই বিধাননগরের পুরবোর্ড গোষ্ঠী রাজনীতিতে জেরবার বলে অভিযোগ। তার জেরেই সেখানে উন্নয়নের কাজ বাধা পাচ্ছে বলে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট গিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই এ দিন আচমকা বিধাননগরের পুরকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুরমন্ত্রী। যে বৈঠকে কাউন্সিলরেরা ছাড়াও বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত এবং বিধাননগরের বিধায়ক তথা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু—দু’জনেই উপস্থিত ছিলেন।

এ দিন নগরোন্নয়ন ভবনে ওই বৈঠক হয়। সূত্রের খবর,বিধাননগর পুরসভার পরিষেবা সংক্রান্ত কাজ নিয়েই শুধু ক্ষোভ প্রকাশ করে থামেননি পুরমন্ত্রী। আক্ষেপের সুরে বৈঠকে বলেছেন বিধাননগর গ্রিন সিটি হওয়ার বদলে ডার্ক সিটিতে পরিণত হচ্ছে।

Advertisement

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ শুধু বলেন, ‘‘রাস্তা, আলো, ট্রেড লাইসেন্স, আবর্জনা অপসারণের কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থের সমস্যা হলে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

সূত্রের খবর, বৈঠকে পুরপরিষেবা নিয়ে যুক্তি পাল্টা যুক্তিতে একে অন্যের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন কাউন্সিলরেরা। তখন চন্দননগরের মতো পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন পুরমন্ত্রী। পাশাপাশি পুরকর্তাদের উদ্দেশ্যে পুরমন্ত্রী জানান তাঁদের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement