রাজ্যের ছ’টি জেলায় তৈরি হবে আধুনিক মানের উপনগরী। আর তা গড়তে বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে সমস্ত রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত একটি সভায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, শিলিগুড়ি, আসানসোল, বারুইপুর, কল্যাণী, হাওড়া ও বোলপুরকে গড়া হবে আধুনিক উপনগরী হিসেবে। বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘উন্নয়ন ও উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আমাদের সরকার জমি ব্যাঙ্ক থেকে জমি দেবে। প্রয়োজনে জমি কিনে দেবে। লগ্নিকারীরা এগিয়ে আসুন। সমস্ত সাহায্য করবো।’’
হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত এই সভায় কয়েকজন বিনিয়োগকারীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী-সহ সেখানে ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যেরা। ছিলেন রাজ্যের ১৪টি লগ্নিকারী সংস্থার প্রতিনিধিও।
এ দিন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানান, পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল মানুষদের স্বার্থ বজায় রেখেই তৈরি হবে ওই ৬টি উপনগরী। কারও যাতে ক্ষতি না হয় তা দেখা হবে। বস্তিবাসীদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। মন্ত্রী জানান, হাওড়ার ডুমুরজলায় ৫৪ একর জমিতে ৩৩ শতাংশ খেলার মাঠের জায়গা রেখে বাকি এলাকায় পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপে এই উপনগরী গড়ে উঠবে। সবুজ বাঁচিয়েই নগরায়ণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মন্ত্রীর আশা, এ কাজে বহু বিনিয়োগকারীই এগিয়ে আসবেন। কারণ কলকাতার পাশেই হাওড়াকে ‘টুইন সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলছে সরকার।
কৃষি বিপণনমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘হাওড়া বহু প্রখ্যাত খেলোয়াড়ে জন্মস্থান। তা মাথায় রেখেই এই উপনগরীর নাম দেওয়া হয়েছে ‘‘ক্রীড়া নগরী’’। যা তৈরি হলে হাওড়ার দীর্ঘ দিনের বঞ্চনার অবসান হবে।’’ মন্ত্রীকে সমর্থন করে মেয়র বলেন, ‘‘হাওড়া গত দেড় বছরে অনেক বদলেছে। সকলে চাইলে টুইন সিটির মর্যাদা পেতে দেরি হবে না।’’
এ দিনের সভা পরিচালনা করেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেন নিজেই। তিনি জানান, সরকারি জমিতে যে ৬টি উপনগরী তৈরি হবে, তা নিয়ে লগ্নিকারীদের আগ্রহ কতটা তা জানতে আজ শুক্রবার হিডকোয় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাতে উপস্থিত থাকার জন্য ইতিমধ্যে ৫০ জনের বেশি দেশি-বিদেশি লগ্নিকারী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন দেবাশিসবাবু।