আগুন লাগল একটি বহুতলের তিনতলার গুদামে। বুধবার, পোস্তার কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিটে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন এক ঘণ্টায় আগুন নেভায়। হতাহতের খবর নেই।
দমকল জানায়, আট তলা ওই বাড়ির তিনতলার আছে একটি মিষ্টি ও ভুজিয়ার দোকানের গুদাম। সেখানে মজুত ছিল মিষ্টি প্যাকেজিংয়ের সামগ্রী। তাতেই আগুন লাগে।
দমকলের বক্তব্য, বহুতলটিতে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। অথচ আবাসনের বেসমেন্টে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাজার, দোতলায় একটি শাড়ির দোকান আছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই এলাকার বহু আবাসনের একাংশ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে।
আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বিজেপি-র বিজয় ওঝা। তিনি বলেন, ‘‘বড়বাজার ও পোস্তায় আগুন লাগলে বড় সমস্যা জলের। তারাসুন্দরী পার্কের জলাধারটি সংস্কারের জন্য বহু আবেদন করলেও পুর-কর্তৃপক্ষ
কানে তোলেননি।’’
কলকাতা পুরসভার আইন অনুযায়ী বাসস্থানের জন্য ব্যবহৃত কোনও জায়গা পরে বাণিজ্যিক জায়গা হিসেবে ব্যবহার করতে হলে পুরসভার অনুমতি লাগবে। এই নিয়ম মানা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। তবে এই বহুতলের ক্ষেত্রে কী হয়েছে, নথি না দেখে তা বলা সম্ভব নয় বলে জানান এক পুরকর্তা।
এ দিনই ভোরে আগুন লাগে স্বাস্থ্য ভবনের মূল ভবন লাগোয়া বিল্ডিংয়ের একতলায়। দমকলের ২টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। পুড়ে গিয়েছে ওই অফিসের বহু নথি। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিটের জেরেই এই বিপত্তি।