—ফাইল চিত্র
আবর্জনা ফেলার জায়গা হয়ে উঠেছে পুকুর। বাড়ির সামনে জঞ্জালে ভরে ওঠা একটা পুকুরের করুণ হাল নিয়ে টক টু মেয়রে অভিযোগ জানালেন বেহালার বীরেন রায় (ইস্ট) রোডের এক বাসিন্দা। মাসখানেক আগে মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে ওই পুকুর পরিদর্শন করে তা সাফ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা হলে কি নির্দেশ পালিত হয়নি? প্রশ্ন উঠতেই বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার জানান, পরিদর্শনের পরে দু’বার জঞ্জাল সাফ করা হয়েছে। কিন্তু ওই পুকুরের পাড় দখল করে থাকা কিছু বাসিন্দা সেখানে প্লাস্টিক ও ময়লা ফেলছেন। তাই বারবার সেটি নোংরা হয়ে যাচ্ছে। একই কথা জানান ওই বাসিন্দাও। পরে মেয়র নির্দেশ দেন, যাঁরা ময়লা ও জঞ্জাল ফেলছেন, তাঁদের পুর আইনে জরিমানা করা হবে। পুরসভার জঞ্জাল দফতরের অফিসারদের এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মেয়রকে ফোনে বেলেঘাটার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ঠিকা জমিতে বাস করি। জোর করে ওঠানোর চেষ্টা হচ্ছে। ভয় দেখাতে ফৌজদারি মামলা করা হচ্ছে। কিছু একটা করুন।’’ মেয়র তাঁকে পুরসভায় যেতে বলেন। সেখানে আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে। তা পূরণ করে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। মেয়র বলেন, ‘‘পুর প্রশাসন আপনাকে ঠিকা জমিতে থাকার আইনি অধিকার দেবে। কেউ আর তুলতে পারবে না।’’
গার্ডেনরিচের এক বাসিন্দা জানান, পুরসভা বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়ার পরেও পুলিশ কাজ করতে দিচ্ছে না। মেয়র বিল্ডিং দফতরের অফিসারকে নির্দেশ দেন, অনুমোদনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানিয়ে দিতে।